ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পূর্ব ইউরোপ সফরে ব্লিঙ্কেন

পূর্ব ইউরোপ সফরে ব্লিঙ্কেন

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টানি ব্লিঙ্কেন। সংক্ষিপ্ত এই সফরের অংশ হিসেবে প্রথমে মলদোভা যাবেন তিনি। গতকাল বুধবার রাজধানী চিসিনাউতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা সমর্থনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্য ন্যাটো মিত্র এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে তার এই সফর। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। মার্কিন শীর্ষ এই কূটনীতিকের সফরের খবরটি এমন সময় এলো যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে তীব্র রুশ হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার জন্য কিয়েভকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিলে বিশ্বব্যাপী সংঘাত শুরু হবে। চিসিনাউতে প্রেসিডেন্ট মাইয়া স্যান্ডু এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন ব্লিঙ্কেন। এই সাক্ষাত এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন মলদোভা রুশ ‘প্রভাবে’র মুখোমুখি হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার সাংবাদিকদের শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক জিম ও’ব্রায়েন বলেছেন, সম্ভবত মলদোভার জ্বালানি স্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘শক্তিশালী প্যাকেজ’ ঘোষণা করবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। ও’ব্রায়েন বলেছেন, মলদোভার বিচ্ছিন্ন ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার সরাসরি সামরিক হুমকি দেখেনি ওয়াশিংটন। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দিতে সপ্তাহের শেষের দিকে প্রাগে সফর করবেন ব্লিঙ্কেন। জুলাইয়ে ওয়াশিংটনে জোটের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আগে প্রস্তুতির অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ করতেই এই বৈঠক। ও'ব্রায়েন বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে আমরা আশা করছি না। তবে আমরা মনে করি ইউক্রেনের পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন প্রদর্শন করা হবে।’ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এটি। এই যুদ্ধে কীভাবে রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি বন্ধ করা যায় তা নিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। পুতিন ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা। মিত্ররা ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর জন্য তাদের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করতে দেবে কি না, এ বিষয়টি প্রাগের বৈঠকে গুরুত্ব পাবে। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেছেন, জোটের সদস্যদের তাদের অস্ত্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত