দক্ষিণ কোরিয়ায় গ্যাস বেলুনে আবর্জনা পাঠাল উত্তর কোরিয়া!

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উত্তর কোরিয়া আবর্জনা ভর্তি কমপক্ষে ২৬০টি গ্যাস বেলুন দক্ষিণে পাঠিয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জনসাধারণকে সাদা গ্যাস বেলুন এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগ স্পর্শ করা থেকে সতর্ক করেছে। এতে আবর্জনা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরেই থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ৯টি প্রদেশে এ ধরনের ৮টি বেলুন পাওয়া গেছে এবং এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৯৫০-এর দশকে কোরিয়ান যুদ্ধের পর থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই তাদের প্রচার-প্রচারণায় বেলুন ব্যবহার করে আসছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, গ্যাস বেলুনের সঙ্গে থাকা আবর্জনার ব্যাগে উত্তর কোরিয়ার প্রচারণামূলক লিফলেট আছে কি না, তা তারা তদন্ত করে দেখছে। বেলুন পাঠানোর সর্বশেষ এই ঘটনাটির কয়েক দিন আগে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার আন্দোলনকর্মীরা সীমান্ত এলাকায় ঘন ঘন লিফলেট এবং অন্যান্য আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর জবাবে তারা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর কয়েক দিন পরেই এমন ঘটনা ঘটল। উত্তর কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম কাং ইল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শিগগিরই আবর্জনা এবং বর্জ্যের পাহাড় সীমান্তের ওপারে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতর ছড়িয়ে পড়বে। তখন তারা বুঝতে পারবে, এগুলো সরাতে ঠিক কতখানি কষ্ট করতে হয়।’ গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এবং সীমান্ত অঞ্চলে বসবাস করা নাগরিকরা তাদের মোবাইল ফোনে একটি বার্তা পান। সেখানে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলে। এ ছাড়া কোনো অজ্ঞাত বস্তু দেখতে পেলে নিকটস্থ সামরিক ঘাঁটি বা থানায় জানাতে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবর্জনাগুলোর কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, ব্যাগগুলো এক ধরনের সুতা বা স্ট্রিংয়ের মাধ্যমে সাদা স্বচ্ছ বেলুনের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আবর্জনার মধ্যে টয়লেট পেপার, কালো রঙের মাটি, ব্যাটারিসহ আরো অনেক বর্জ্যই রয়েছে।

এর মধ্যে কয়েকটি ছবিতে বেলুনগুলোর কাছে পুলিশ এবং সেনা কর্মকর্তাদেরও দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ‘পড়ে যাওয়া কিছু বেলুন থেকে বের হওয়া গন্ধ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তাতে মলও রয়েছে।’ দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এই কাজটিকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে। তারা আরো বলেছে, ‘এটি আমাদের জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে। এ ঘটনার জন্য উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণভাবে দায়ী এবং আমরা উত্তর কোরিয়াকে অবিলম্বে এই অমানবিক ও নৃশংস কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করছি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংইয়ংবিরোধীরা উত্তর কোরিয়ায় যেসব বেলুন পাঠিয়েছে, সেগুলোতে নানা জিনিসের মধ্যে নগদ অর্থ, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নানা মিডিয়া কনটেন্ট এবং চকো পাইও রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় নাশতা চকো পাই উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ।