দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে ১০০ টন সোনা ভারতে ফিরিয়ে আনছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিপুল পরিমাণ সোনা দেশে আনার সিদ্ধান্ত নিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতের বেশির ভাগ সোনাই দেশের বাইরে ছিল এত দিন। মূলত ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টে ভারতের বেশির ভাগ সোনা গচ্ছিত। সব মিলিয়ে ভারতের মোট সোনার রিজার্ভের অর্ধেকই এই দুই ব্যাংকে ছিল এত দিন। বাকি সোনাগুলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টেই রক্ষিত ছিল। মূলত, সোনা ভল্টে রাখার জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভাড়া হিসেবে দিতে হয়, তা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বার্ষিক তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ নাগাদ তাদের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিয়মের অংশ হিসেবে ৮২২ দশমিক ১ টন সোনা ছিল। এর ঠিক এক বছর আগে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সোনার মজুত ছিল ৭৯৪ দশমিক ৬৩ টন। ১৯৯৯ সালের ৪-১৮ জুলাইয়ের মধ্যকার আর্থিক সংকট মোকাবিলায় অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে সোনা বিনিময় করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময় ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ব্যাংক অব জাপান থেকে ৪৬ দশমিক ৯১ টন সোনা নিজ দেশে এনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অর্থের সমপরিমাণ বৈদেশিক পাওনা মিটিয়েছিল। এরপর ১৫ বছর আগে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ২০০ টন সোনা কিনেছিল।