ইইউ ভোটের পর জার্মান চ্যান্সেলরের জোটের ভবিষ্যৎ কী

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইইউ ভোটে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দলগুলো খারাপ ফল করেছে। আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের দাবি উঠেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর দল ইউরোপীয় নির্বাচনে খারাপ ফল করার পরই তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জার্মানিতেও চ্যান্সেলর শোলজের ওপর আগাম নির্বাচন করানোর জন্য চাপ বাড়ছে। তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটের (এসপিডি) ভোট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯ শতাংশে। তাদের শরিক দল গ্রিনদের ভোট কমে হয়েছে ১১.৯ শতাংশ এবং এফপিডির ৫.২ শতাংশ।

বেশ কিছুদিন ধরে সমীক্ষাগুলোর ফলে দেখা যাচ্ছিল, এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জার্মান ফেডারেল সরকারের কাজে খুশি নয়। তাদের পোল রেটিং সমানে কমছে। ইইউ নির্বাচনেও ফল প্রত্যাশার থেকেও খারাপ হয়েছে। দক্ষিণপন্থী এএফডি ১৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তাদের সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। ইইউ নির্বাচনে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সিডিইউ/সিএসইউ। তাদের পাওয়া ভোটের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। সিডিইউর কৌশল ছিল, ইইউ পার্লামেন্টের এই ভোটকে ক্ষমতাসীন জোটের বিরুদ্ধে ভোটে পরিণত করা। ক্ষমতাসীন জোটের তিন দলের রঙের জন্য তাদের বলা হয় ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন’। সিডিইউর স্লোগান ছিল, ‘সিডিইউর পক্ষে ভোট দেওয়ার আরেকটা কারণ ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন’।

ফ্রান্সের মতো আগাম নির্বাচন : এ দিকে সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিশ মার্ৎস ও সিএসইউ নেতা মার্কুস জুইডা দাবি করেছেন, জার্মানিতেও আগাম নির্বাচন করা হোক। কারণ, ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দিয়েছেন। তারা এই জোটের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। তাদের মতে, যদি এর পরও জোট সরকারে থাকে, তাহলে মানুষ খুবই হতাশ হবেন।

সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জোটের পক্ষ থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও আগাম নির্বাচনের কথা ভাবা হচ্ছে না। জার্মানিতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৫ সালে। এই সময়ের মধ্যে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে চান।

ফ্রান্সের পরিস্থিতির সঙ্গে জার্মানির পরিস্থিতির ফারাক আছে। ফ্রান্সে ম্যাখোঁ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফল যা-ই হোক না কেন, তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।

কিন্তু জার্মানিতে আগামী নির্বাচনে হেরে গেলে শোলজকে ক্ষমতা হারাতে হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্টকে দেশের মানুষ নির্বাচিত করে। জার্মান চ্যান্সেলরকে নির্বাচিত করেন জিতে আসা এমপিরা।