ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্থবির যুদ্ধবিরতি আলোচনা

স্থবির যুদ্ধবিরতি আলোচনা

অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছে হামাস। এদিকে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনতে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে দেশটির রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায়। অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১৮ জন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, লেবাননে অবস্থানরত হামাসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা ওসমান হামাদান জানিয়েছেন, হামাস এখনো ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, যাতে প্রায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাত শেষ হয়।

হামাস নেতা ওসমান হামাদান লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আবারো বলছি যে, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরায়েলি বাহিনীর) প্রত্যাহার এবং একটি কার্যকর জিম্মি-বন্দি অদলবদল চুক্তি নিশ্চিত করে এমন যে কোনো (যুদ্ধবিরতি) প্রস্তাব হামাস ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত।’ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সমর্থিত যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে গেছে। মূলত হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষের অনড় অবস্থান এবং ছাড়া না দেওয়ার জন্য পরস্পরকে দোষারোপের কারণে এই আলোচনা ভেস্তে গেছে। হামাস চায় গাজা ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। বিপরীতে ইসরায়েলের দাবি একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি। যার পর আবারো আগ্রাসন চালিয়ে হামাসকে নির্মূল করার কাজ চালিয়ে যেতে চায় দেশটি। এই অবস্থায় হামাসের নেতারা দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে অচলাবস্থার জন্য দায়ী ইসরায়েলই।

ওসমান হামাদান এ সময় যুদ্ধবিরতির শর্ত মানাতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে চাপ দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন। অন্যদিকে, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনতে তেল আবিবের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে লাখো পুলিশ। শনিবার রাতে তেল আবিবের রাস্তায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। উল্লেখ্য, গাজায় প্রায় ৯ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শিশু। এই সময়ে আহত হয়েছে আরো ৮৬ হাজার ৩৭৭ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ আছে আরও ১০ হাজারের বেশি। এর বাইরে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে অপর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩৭ জনই শিশু। একই সময়ে আহত হয়েছে আরো ৫ হাজার ২০০ জনের বেশি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত