ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ইসরায়েলবাসী নেতানিয়াহুর কাছে জিম্মি’

‘ইসরায়েলবাসী নেতানিয়াহুর কাছে জিম্মি’

ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে। বিক্ষুদ্ধ ইসরায়েলিরা নেতানিয়াহুকে পদত্যাগ করে দ্রুত একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তি করারও তাগিদ দেন। তারা বলেন, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি আছেন ১২০ জন ইসরায়েলি, আর ইসরায়েলে আমরা সবাই জিম্মি নেতানিয়াহুর গোয়ার্তুমির কাছে। তেলআবিবে কয়েক হাজার ইসরায়েলি গত রোববার রাতে রাস্তায় নেমে আসেন এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন হামাসের হাতে জিম্মি এক ইসরায়েলি জিম্মির ছেলে এইনাভ জাংগাওকার। নিজেকে একটি খাঁচায় বন্দি করে তিনি অভিনব প্রতিবাদ জানান নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আইজেক কাৎজ ও নেসেটের (ইসরায়েলের পার্লামেন্ট) স্পিকার আমির ওহানার বাড়ি অবরোধ করেও বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। ইসরায়েলে গত রোববার সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশটি হয় অধিকৃত জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে। তেলআবিবের উত্তরাঞ্চলে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার নিয়ে গেছে ইসরায়েলি পুলিশ। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে- গাজা আগ্রাসনের নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও ইসরাইলি সেনারা উপত্যকার আগ্রাসন চালাচ্ছে, তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই জবাব দেয়া হবে। হামাসের সামরিক বাহিনী কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বেশ কিছুদিন বিরতির পর রোবাবর রাতে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় একথা জানান। যথারীতি ভিডিও ধারন করার সময় আবু উবায়দার মুখমণ্ডল নেকাব দিয়ে ঢাকা ছিল। তিনি বলেন, নয় মাস পর এখনও আগ্রাসী বাহিনী প্রথম দিনের মতোই আমাদের যোদ্ধাদের হামলার শিকার হচ্ছে। প্রতিদিনই ইহুদিবাদী সেনারা মারা পড়ছে, তাদের ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যান ধ্বংস হচ্ছে এবং তারা অতর্কিত হামলার শিকার হচ্ছে। আবু উবায়দা বলেন, গাজার যে অংশেই তারা হামলা চালাতে যাচ্ছে সে অংশেই ভয়ানক হামলার শিকার হচ্ছে। হামাসের সামরিক মুখপাত্র বলেন, ইহুদিবাদী শত্রু আগের মতোই পরাজিত হবে ইনশা আল্লাহ। গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইসরাইলকে বাধ্য করতে অপারগতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, নয় মাস ধরে মাতৃভূমি আকড়ে থাকার এবং দখলদারদেরকে এই ভূমি কেড়ে নিতে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর মাশুল দিতে হচ্ছে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের। আর এই অপরাধ বিশ্ববাসী মুখ বুজে সহ্য করছে। আবু উবায়দা বলেন, এ থেকে প্রমাণিত হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অকার্যকর, কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিথ্যাবাদী এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ন্যয়বিচারের যে দাবি করা হয় তা সুনির্দিষ্ট কিছু দেশের স্বার্থ রক্ষা করে। তিনি এ অবস্থার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত