যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নিহত আট

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় বেরিলের আঘাতে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে তাণ্ডব চালানোর পর মঙ্গলবার এটি ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর হিউস্টন এলাকায় লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং প্রচণ্ড গরমে লোকজন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে তীব্র গরম। গত সোমবার ভোরের দিকে মেক্সিকো উপসাগর থেকে টেক্সাসে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। সে সময় এই ঝড়কে ক্যাটাগরি ১ হারিকেন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী এই ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেশী লুইসিয়ানাতে আরো একজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মঙ্গলবার টেক্সাসে প্রায় ২০ লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে ঝড়-বৃষ্টির পরেও সেখানে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং চরম তাপ যা টেক্সাসের জনজীবনে প্রভাব ফেলছে। এছাড়া লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যেও প্রায় ১৪ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বাসিন্দাদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন

সেন্টার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুর্বল হয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। ঘণ্টায় ৩০ মাইল (৪৫ কিলোমিটার) বেগে এটি মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে এখনো টর্নেডো এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।