সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘শর্তসাপেক্ষে’ আলোচনার প্রস্তাব ইমরান খানের

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার দল দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ‘শর্তসাপেক্ষে আলোচনা’ করতে প্রস্তুত এবং আলোচনার জন্য একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে। তার অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বুধবার এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘সামরিক নেতৃত্ব যদি তাদের প্রতিনিধি নিয়োগ করে তবে আমরা শর্তসাপেক্ষে আলোচনা করব।’ তিনি মঙ্গলবার জেলের ভেতর থেকে এই বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে সেনাবাহিনী ইমরান খানের এই প্রস্তাবের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির সেনাবাহিনী ৭৬ বছরের ইতিহাসের প্রায় অর্ধেক সময় সরাসরি পাকিস্তানকে শাসন করেছে। তবে তারা রাজনীতিতে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে। ইমরান খান বলেছেন, আলোচনার জন্য অন্যতম শর্ত হলো, ‘নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলাগুলো বাতিল করা। তিনি মাহমুদ খান আচাকজাইকে আলোচনায় তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। তিনি একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র ও একটি ছোট দলের নেতা। এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার ইমরান খানকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার ‘অনুরোধ’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

সেই সঙ্গে তাকে এর পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটির ওপর আগের হামলার জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছে। শাসক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে স্বঘোষিত বিপ্লবী বলতেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না, তিনি এখন সশস্ত্র বাহিনীকে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করতে নেমেছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার ইমরান খানের প্রস্তাবকে ‘ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে তার ‘নোংরা রাজনীতিতে’ টেনে আনার চেষ্টা করছেন। ইমরান খান গত আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন।

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অনেক মামলা অব্যাহত রয়েছে। ইমরান খান ও পিটিআই দল বলেছে, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব মামলা দিয়ে তার ক্ষমতায় ফিরে আসাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।