কেরালায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৫

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই প্রতিবেদন লিখার সময় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দুই শতাধিক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃষ্টি ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই উদ্ধারকারীদের ৪০টি দল গতকাল শুক্রবার ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ানাড় জেলায় অভিযান শুরু করেছে। ১৯০ ফুট দীর্ঘ বেইলি সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান গতি পেয়েছে।

উদ্ধারকারী এক সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ডগ স্কোয়াড নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা করে উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৪০টি দল ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি জোনে তল্লাশি অভিযান চালাবে। জোনগুলো হলো- আট্টমালা ও আরানমালা (প্রথম), মুন্ডাক্কাই (দ্বিতীয়), পুঞ্চিরিমাট্টম (তৃতীয়), ভেল্লারিমালা গ্রাম (চতুর্থ), জিভিএইচএসএস ভেল্লারিমালা (পঞ্চম) এবং নদীর তীর (ষষ্ঠ)। এই উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, ডিএসজি, উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌসেনা এবং এমইজির কর্মী, তিনজন স্থানীয় এবং বন দপ্তরের এক কর্মী থাকবেন।

পাশাপাশি, উদ্ধার পরিকল্পনা অনুসারে চালিয়ার নদীতে ত্রিমুখী অনুসন্ধান অভিযান শুরু হবে।

চালিয়ারের ৪০ কিলোমিটার এলাকা বরাবর আটটি পুলিশ স্টেশন স্থানীয় সাঁতার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিলে নদীর ভাটিতে ভেসে আসা বা নদীর তীরে আটকে পড়া মৃতদেহের সন্ধানে তল্লাশি চালাবে। একই সঙ্গে পুলিশের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আরেকটি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বন বিভাগ যৌথভাবে নদীর তীর ও যেসব এলাকায় লাশ আটকে থাকতে পারে সেদিকে নজর রেখে তল্লাশি অভিযান চালাবে। ধারনা করা হচ্ছে, উদ্ধারকাজ শুরু হলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী কে রাজন বলেছিলেন, মাটির নিচে চাপা পড়া দেহগুলো শনাক্ত করতে শনিবার দিল্লি থেকে একটি ড্রোনভিত্তিক রেডার আসবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ছয়টি কুকুর উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে এবং আরও চারটি তামিলনাড়ু থেকে আসবে।