ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেতানিয়াহুকে সতর্ক করলেন বাইডেন

নেতানিয়াহুকে সতর্ক করলেন বাইডেন

মধ্যপ্রাচ্যে এখন চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ সুখরের হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসরায়েলে ইরান ও তার মিত্রদের পাল্টা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে । এ ব্যাপারে সতর্ক করতে বাইডেন গত শুক্রবার জরুরি ফোনালাপ করেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। এ সময় তিনি নেতানিয়াহুকে এ অঞ্চলে আর উত্তেজনা না বাড়তে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় বাইডেন জিম্মিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহুকে দ্রুত হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হতে বলেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তায় মধ্যপ্রাচ্যে আরো মার্কিন যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠানোরও আশ্বাস দেন বাইডেন। অন্যদিকে, শীর্ষ কমান্ডার হত্যার জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। হানিয়াকে হত্যার জেরে ইসরাইলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি এরই মধ্যে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার নির্দেশও দিয়েছেন। টাইমস অব ইসরাইলের জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ইরান ও তাদের মিত্রবাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে দখলদার ইসরাইল। গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের সামরিক বাহিনী সবদিক থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি। সতর্কাবস্থার ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য হামলা ও প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে ইসরাইল উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।

আমাদের ওপর যেকোনো দিক দিয়ে যেকোনো আগ্রাসনের উচ্চ মূল্য দিতে হবে। এদিকে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ইরানের কাছ থেকে আসা সব ধরনের হুমকি’ থেকে ইসরাইলকে সুরক্ষা দেবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘অঙ্গীকার’ থেকে বিচ্যুত হবে না। ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রয়োজনে ইসরাইলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়েও আলাপ করেছেন দুই নেতা। উল্লেখ্য, বুধবার (৩১ জুলাই) ভোরে তেহরানের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এ সময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন। ইরান ও তুরস্ক মনে করছে, এটি ইসরায়েলের আরেকটি গুপ্তহত্যা। তবে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত