ব্রিটেনে দাঙ্গায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশিরা

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রিটেনে চলমান দাঙ্গার মূল টার্গেট অভিবাসী মুসলমানরা। লন্ডন শহর অভিবাসীবহুল হওয়ায় লন্ডনে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো থাকলেও যেসব শহর ও এলাকায় অভিবাসীর সংখ্যা একেবারেই কম, সেখানে অভিবাসীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশিদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরে অভিবাসীদের পক্ষে ও উগ্র-ডানপন্থিদের বিরুদ্ধে এখন সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বাংলাদেশিসহ লাখো ব্রিটিশ। শ্বেতাঙ্গরাও এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরো মিছিলের ডাক দিয়েছে উগ্র-ডানপন্থীরা। প্রতিবাদে গত দুই দিনে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। তারা বর্ণবাদণ্ডবিরোধী স্লোগান দেন। ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটি এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কমিউনিটির মসজিদগুলোতে একের পর এক হামলার হুমকি আসছে। হিজাব পরিহিত বাংলাদেশি নারীরা কাজে বা জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি ছাড়া বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ছেলেমেয়েদের ছুটির সময় চললেও উদযাপন করতে পারছেন না ব্রিটেনের লাখ লাখ মুসলমান পরিবার। প্রায় দশ দিন ধরে চলমান দাঙ্গায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটি। ব্রিটেনে যখনই বামপন্থি লেবার সরকার ক্ষমতায় আসে তখনই একটি পক্ষ উগ্র-ডানপন্থিদের উসকে দেয়। দেশজুড়ে দাঙ্গার পেছনে উগ্র-ডানপন্থিদের পাশাপাশি রয়েছে অভিবাসী-বিরোধী বর্ণবাদীরা, এমন বাস্তবতা এখন স্পষ্ট। ইডিএল ও টমি রবিনসনের পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে। ১৯৪৭ সালের পর এদেশে মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কলকারখানা চালু রাখার স্বার্থে অর্থনীতির উন্নতির জন্য ব্রিটেন সরকার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসীদের বিভিন্ন ভিসা দিয়ে নিয়ে আসে। ব্রিটেনে সত্তরের দশক থেকে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন রাজন উদ্দীন জালাল। তিনি বলেন, আমাদের প্রজন্ম এখন বৃদ্ধ। সত্তর ও আশির দশকে আমরা যারা লড়াই করেছি বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। অনেকে অসুস্থ। বর্ণবাদীদের রুখতে কমিউনিটির তরুণ প্রজন্ম, মসজিদগুলোসহ সবার সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। আগামী সোমবার করণীয় নির্ধারণে তারা সভা ডাকেছেন বলে জানান রাজন উদ্দীন জালাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য, লন্ডন স্কুল অব কমার্স অ্যান্ড আইটির সিইও নসরুল্লাহ খান বলেছেন, এ দেশটি সবার। অভিবাসীদের নিয়ে খেলা চলছে। বর্ণবাদীরা এর নেপথ্যে।