বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়েছে জাপানে

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভবিষ্যতে ‘বড় ধরনের ভূমিকম্প’ হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে বলে প্রথমবারের মতো সতর্কতা জারি করেছে জাপান। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ সতর্কতা জারি করা হয়। কর্তৃপক্ষ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে নিজ নিজ জায়গায় থেকে ভূমিকম্পের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে। কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে এও বলেছে, সতর্কতার অর্থ এই নয় যে, বড় ভূমিকম্প আসন্ন, তবে এ সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। বিবিসি জানায়, জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই সতর্কতা জারি করা হয়। তবে এই ভূমিকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন। কারণ উৎপত্তিস্থলটি ছিল নানকাই ট্রফের কিনারায়। জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর বিস্তৃত একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা এটি। এই প্লেট সীমানা মধ্য জাপানের সুরুগা উপসাগর এবং দক্ষিণে কিউশুর হিউগানাডা সাগরের মধ্যে অবস্থিত। এর আগে নানকাই ট্রফের ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ মেগা ভূমিকম্পগুলো প্রতি ৯০ থেকে ২০০ বছরে একবার রেকর্ড করা হয়েছে, সর্বশেষ এমন ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নানকাই ট্রফে ৮ বা ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। আর সেই ভূমিকম্প ও সম্ভাব্য সুনামিতে আনুমানিক দুই লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তবে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা শিনিয়া সুকাদা জোর দিয়ে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আরেকটি বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা এখন তুলনামূলকভাবে বেশি’ হলেও, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যে এমন ভূমিকম্প হবে সেরকম নিশ্চিত করে কিছু তারা বলছেন না। লোকজনকে সতর্ক করে বর্তমানে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা নিম্নস্তরের এবং এটি এক সপ্তাহের জন্য বলবৎ থাকবে। আগামী দিনগুলোতে বাসিন্দাদের আরো বেশি সতর্ক থাকা এবং যারা দ্রুত অন্য জায়গায় সরে যেতে পারবেন না, তাদের স্বেচ্ছায় তা করার কথা বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের এনএইচকে সম্প্রচারমাধ্যম। কর্মকর্তারা জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও তাদের নিত্যদিনের জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে, প্রয়োজনে অন্য জায়গায় সরে যাওয়ার পথগুলো প্রয়োজনে খতিয়ে দেখে নেয়া এবং ঘরে পর্যাপ্ত জরুরি সরবরাহ আছে কি না তাও দেখে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।