ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বাড়ছে

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বাড়ছে

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ ‘ভীতিকরভাবে’ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ক জাতিসংঘের উদ্যোগ আইআইএমএম। তারা বলেছে, সামরিক সরকারের অধীনে পরিকল্পিত নির্যাতন, ধর্ষণ ও শিশুদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বেড়ে গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান সংঘাতের তীব্রতার কারণে গত ছয় মাসে তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের আইআইএমএমণ্ডএর প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেছেন, মিয়ানমারজুড়ে ভয়াবহ বর্বরতা এবং অমানবিকতার প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করেছি। বার্ষিক প্রতিবেদনে আইআইএমএম বলেছে, গত এক বছরে মিয়ানমারের সংঘাত ‘বহুল পরিমাণে’ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ব্যাপক ও নির্মম অপরাধের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা স্কুল, ধর্মীয় স্থাপনা এবং হাসপাতালগুলোতে আক্রমণ, শিরচ্ছেদ এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া বিকৃত লাশ প্রদর্শনের মতো সহিংস যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছেন। তদন্তকারীরা সেনাবাহিনীর বিরোধীদের অবৈধ আটক এবং নির্যাতনের প্রমাণও সংগ্রহ করেছেন। প্রতিবেদনে বৈদ্যুতিক শক, আঙ্গুলের নখ টেনে তোলা, জ্বালানি ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন নির্যাতনের পদ্ধতির বর্ণনা রয়েছে। আইআইএমএম জানিয়েছে, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সব বয়সী এবং লিঙ্গের মানুষদের বিরুদ্ধে হচ্ছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে এবং অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। তার পর থেকে সেনা সরকার গণতন্ত্রপন্থি ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালিয়ে আসছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত অপরাধেরও প্রমাণ রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত