ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আফগানিস্তানে নারীদের নেকাব, পুরুষদের দাড়ি বাধ্যতামূলক

আফগানিস্তানে নারীদের নেকাব, পুরুষদের দাড়ি বাধ্যতামূলক

আফগানিস্তানে এখন থেকে নারীদের মুখ ঢেকে চলতে হবে ও পুরুষদের দাড়ি রাখতে হবে। আফগানিস্তানে নীতিনৈতিকতা বিষয়ক একগুচ্ছ নিয়মকানুন গত সপ্তাহে আইন হিসেবে নথিভুক্ত ও কার্যকর করা শুরু করেছে তালেবান সরকার। আইনের আওতায় দেশটিতে নারীদের মুখ ঢেকে চলতে হবে ও পুরুষদের দাড়ি রাখতে হবে; গাড়ি চালানোর সময় বাজানো যাবে না গান; বাদ দেয়া যাবে না নামাজ আদায় ও রোজা পালন। আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয় এসব কথা জানিয়েছে।

গত সপ্তাহের বুধবার এই ৩৫ ধারার আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়। আফগানিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে দেয়া সুপ্রিম নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশনা এবং শরিয়াহ আইন অনুযায়ী নতুন এ আইনটি করা হয়েছে। এটি কার্যকরে কাজ করবে নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়।

আফগানিস্তানে শরিয়াহ আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসব নিয়মকানুন কার্যকর করবে নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে একই ধরনের কিছু নিয়ম কার্যকর করা শুরু করেছে। নিয়মভঙ্গের জন্য হাজারো মানুষকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে। তবে নতুন করে নথিবদ্ধ নিয়মগুলো কতটা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বরকতুল্লাহ রাসোলি বলেন, সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার অনুমোদনের পর গত বুধবার নৈতিকতাবিষয়ক ৩৫টি নিয়মকানুন আইন হিসেবে কার্যকর ও নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, আফগানিস্তানে নারীদের পুরো শরীর ও মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে। পুরুষদের দাড়ি কাটার ওপর বিধিনিষেধ আরোপিত থাকবে। সেই সঙ্গে নামাজ আদায় ও রোজা পালন বাদ দেয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।

২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতায় আসে তালেবান। এর পর থেকে তালেবানের তরফে নারীদের প্রতি ও বাকস্বাধীনতার ওপর আরোপিত কিছু বিধিনিষেধ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও বিদেশি সরকারের কাছে সমালোচিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, নারীদের অধিকার নিশ্চিত না করা ও মেয়েদের বিদ্যালয়গুলো খুলে না দেয়ার কারণে তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি অনেকাংশে থমকে আছে।

তালেবানের ভাষ্য, তারা নারীদের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে সেটা অবশ্যই শরিয়াহ আইন ও স্থানীয় প্রথার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিষয়কে দেখতে হবে স্থানীয়ভাবেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত