ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাপানে টাইফুন শানশানের আঘাতে নিহত তিন

জাপানে টাইফুন শানশানের আঘাতে নিহত তিন

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন ‘শানশান’ আঘাত হেনেছে। বাতাসের প্রবল ধাক্কায় ঘরের জানালা ও টাইলস উড়ে গেছে। এ ছাড়া মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। জাপানে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী এ টাইফুন ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার বেগে বয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে আঘাত হানে। দ্বীপটিতে ১ কোটি ২৫ লাখ লোকের বসবাস। টাইফুন আঘাত হানার আগেই কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে হাজারো লোককে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করে। একজন দুর্যোগ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উপকূলীয় মিয়াজাকি শহরে এ পর্যন্ত ২৬ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ভবন ক্ষতিগ্রস্তের ১২৪টি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ঝড়ের কারণে কিউশুর ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬১০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জাপানের আবহওয়া অফিস সতর্ক করে বলেছে, প্রবল বর্ষণের কারণে দুর্যোগের ঝুঁকি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শক্তিশালী টাইফুন শানশানের কারণে বৃহৎ অটো কোম্পানি টয়োটা তাদের ১৪ ফ্যাক্টরির সব কটিতেই উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া নিশান ও হোন্ডা কিউশুতে তাদের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে, জাপান এয়ারলাইনস গতকাল বৃহস্পতিবারের জন্য ২৭৫টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ১৪ হাজার ৮৯৩ যাত্রী। আজ শুক্রবারের জন্য জাপান এয়ারলাইনস ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর ফলে বিপাকে পড়বে এক হাজার ৩০৭ যাত্রী। এ ছাড়া এএনএ নিক্সড গতকাল বৃহস্পতিবারের জন্য ২১২ ও আজ শুক্রবারের জন্য ৪২টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে। উল্লেখ্য, জাপানে চলতি মাসে টাইফুন অ্যামপিলের কারণে কয়েকশ’ বিমান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ঝড়টির কারণে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও এটি টোকিওতে সরাসরি আঘাত না করে অঞ্চলটির পাশ দিয়ে অতিক্রম করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে গেছে। এর আগে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় মারিয়ার প্রভাবে জাপানের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। গত মাসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে ঝড়গুলো উপকূল রেখার কাছাকাছি সৃষ্টি হয়ে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে স্থলভাগে আঘাত হানছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত