আগস্টজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার উল্লম্ফন দেখেছে পাকিস্তান
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে দেশজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার উল্লম্ফণ দেখেছে পাকিস্তান। দেশটির থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজ (পিপস) এক প্রতিবেদনে বলেছে, আগস্টে পাকিস্তানে মোট ৫৯টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে পিপস। সেখানে আরো বলা হয়েছে, আগস্টের আগের মাস জুলাইয়ে ৩৮টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল পাকিস্তানে। পাকিস্তানের প্রদেশ ৪টি এবং কেন্দ্রশাসিত এলাকা ৩টি। পিপসের তথ্য অনুসারে, আগস্ট মাসের যাবতীয় সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে তিনটি প্রদেশে- খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান এবং পাঞ্জাবে। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ২৯টি, বেলুচিস্তানে ২৮টি এবং পাঞ্জাবে ২টি হামলা হয়েছে।
আগস্ট মাসের বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় বেলুচিস্তান প্রদেশে নিহত হয়েছেন মোট ৫৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরো ৮৪ জন; এছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ায় ২৫ জন এবং পাঞ্জাবে ২ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পিপস। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবের সন্ত্রাসী হামলাগুলো চালিয়েছে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি), হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপ, লস্কর-ই-ইসলাম, ইসলামিক স্টেট- খোরাসান (আইএসকে) এবং টিটিপি সমর্থিত স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
অন্যদিকে বেলুচিস্তানে হামলার জন্য মূলত দায়ী প্রদেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং বিএলএ সমর্থিত বিভিন্ন স্থানীয় গ্রুপ।
সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলো দমনে আগস্ট মাসে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। পিপসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে দেশজুড়ে মোট ১২টি অভিযান পরিচালনা করেছে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী।
এসব অভিযানে মোট ৮৮ জন সন্ত্রাসী, ১৫ জন সেনা এবং ৩ জন পুলিশসদস্য নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানে অনেক বছর ধরে তৎপর বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, তবে ২০২১ সালে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে নতুন উদ্যমে তৎপর হয়ে উঠেছেন সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
পাকিস্তানের অপর থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের গোটা বছরে শুধু বেলুচিস্তানেই ঘটেছে অন্তত ১৭০টি সন্ত্রাসী হামলা। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫১ জন বেসামরিক এবং ১১৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।