ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলা

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লেবানন থেকে রাতভর রকেট হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। হিজবুল্লাহর সক্ষমতা এবং সামরিক অবকাঠামোর ‘ক্ষতিসাধন ও দুর্বল’ করার জন্য তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। খবর রয়টার্স, এএফপির। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, গত রোববার সকালে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো। এর আগে রাতভর লেবানন থেকে ইসরায়েলে দেড়শোর মতো রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর বেশিরভাগই রুখে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে কয়েকটি রকেট উত্তরের শহর হাইফাতে গিয়ে পড়েছে।

সেখানে অন্তত তিনজন আহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। উদ্ধারকারীরা আহত কয়েকজনকে চিকিৎসা দিয়েছে। তবে কারো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে অভ্যন্তরে চালানো হামলা বলে দাবি তাদের। অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো ‘হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা’ অব্যাহত রেখেছে। গত শনিবার আইডিএফ লেবাননের ২৯০টি স্থানে হামলার কথা জানিয়েছে। গত শুক্রবার বৈরুতের শহরতলিতে ইসরায়েলের হামলায় তিন শিশুসহ ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েল জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র কমান্ডারও রয়েছেন। ২০০৬ সালে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধের পর বৈরুতে গত শুক্রবারের হামলাটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও সাতজন নারী রয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, এই হামলায় শীর্ষ নেতাসহ হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন সদস্যও নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান ফোর্সের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল এই হামলায় নিহত হয়েছেন। জঙ্গিগোষ্ঠীটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আকিল একটি ভবনের নিচতলায় বৈঠক করছিলেন। কয়েকদিন আগেই শত শত পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে লেবাননে দুই হিজবুল্লাহ সদস্যসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন। ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলই এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। এরপর হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে পালটা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকির মধ্যেই ইসারায়েলের এই বিমান হামলার ঘটনা ঘটলো।