কিউবায় প্রবল বিদ্যুৎ সংকটের সময়ে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় মোটরসাইকেলের আলো দেখা যাচ্ছে। গত ১৯ অক্টোবরের ছবি কিউবায় প্রবল বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যেই আছড়ে পড়েছে হ্যারিকেন অস্কার। স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যায় আঘাত হানা ঝড়ের কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বাহামার গ্রেট ইনাগু দ্বীপে হ্যারিকেন অস্কার আছড়ে পড়ে। কিউবার গুয়ান্তানামোতে হারিকেনের মধ্যভাগ পৌঁছায় স্থানীয় সময় ছয়টা ১০ মিনিটের দিকে। সেসময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। শক্তিশালী এই হ্যারিকেনের ফলে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। হ্যারিকেন আছড়ে পড়ার পর চারিদিকে ধসের ছবি দেখা গেছে। একের পর এক বাড়ি ধ্বংস করে চলে গেছে এই শক্তিশালী ঝড়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হ্যারিকেনের প্রভাবে পাঁচ থেকে ১০ ইঞ্চি বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ঝড় ও বৃষ্টির ফলে বহু জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। এর ফলে গুয়ান্তানামো, হবগুইন, লাস তুনাস এলাকায় প্রবল বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। হ্যারিকেন অস্কারের ফলে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। গাছ উপড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গা পানির তলায় চলে গেছে। ফলে গুয়ান্তানামো ও তার আশপাশের এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিউবার শক্তিমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ-সংকট সোমবার বা মঙ্গলবার সকালে কাটতে পারে। তখন বিদ্যুতের গ্রিড আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, হ্যারিকেন অস্কারের তাণ্ডবের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। যে সব জায়গায় প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, সেখানেই অস্কার তাণ্ডব চালিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে কিউবায় ব্ল্যাক আউট চলছে। সরকার জরুরি নয় সেই সব জায়গায় বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার পুরো গ্রিড ব্যবস্থা বসে যায়। ফলে এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। গত শনিবার সকালে আবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ৬০ বছরের পুরোনো বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি জোগাড় করতে গিয়ে তারা অসুবিধায় পড়েছেন। হাভানার কিছু এলাকায় রোববার বিদ্যুৎ এসেছে। কিন্তু রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা অন্ধকার ছিল।