সুদানে স্থানীয় প্যারামিলিটারি গ্রুপ র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় অন্তত ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাজধানী খার্তুমের দক্ষিণে আল-সারিহা গ্রামে এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীদের মতে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে এটি হতে পারে অন্যতম প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা। গত বছরের এপ্রিল থেকে আরএসএফ ও সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই চলছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আরএসএফের আল-জাজিরাহ অঞ্চলের কমান্ডার সেনাবাহিনীর পক্ষে যোগ দেয়ার পর থেকে হামলার মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটির একজন সদস্য সিএনএন’কে বলেছেন, গত শুক্রবারের হামলায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং অন্তত ১৫০ জনকে বন্দি করেছে আরএসএফ। তবে ভুক্তভোগীদের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি বলেছে, আরএসএফ মিলিশিয়ারা স্টারলিংকের সব যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ওগুলোই ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তিনি আরো জানান, হামলার ভয়ে বাসিন্দারা পালিয়ে যাওয়ায় পূর্ব আল-জাজিরাহ অঞ্চলের ৩০টির বেশি গ্রাম খালি হয়ে গেছে। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কও একই গ্রামের গণহত্যার খবর দিয়েছে। তারা বলছে, আরএসএফ বাহিনী আল-সারিহায় গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ১২৪ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হামলার কারণে শত শত বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সিএনএন নিজে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। কারণ মিডিয়া টিমগুলোকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। আরএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘ বলছে, সুদানি সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে সংঘাত বিশ্বের ‘সবচেয়ে খারাপ’ মানবিক সংকট তৈরি করেছে।