নিম্ন জন্মহার
চীনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার নিম্ন জন্মহার ও তার জেরে শিশুদের সংখ্যা কমতে থাকায় একের পর এক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চীনে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। বুলেটিনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চীনজুড়ে যেখানে ২ লাখ ৮৯ হাজার ২০০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছিল, পরের বছর ২০২৩ সালে তা হ্রাস পেয়ে নেমে এসেছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০টিতে। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে দেশটিতে ১৪ হাজার ৮০০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে আরো বলা হয়েছে— শতকরা হিসেবে এক বছরে চীনে ১ দশমিক ২ শতাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই সময়সীমায় চীনে কিন্ডারগার্টেনগামী শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। গত কয়েক বছর ধরেই চীনে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, সংকট দূর হওয়ার পরিবর্তে আরো বেশি ঘনীভূত হচ্ছে। ২০২৩ সালে চীনে জন্ম নিয়েছে মাত্র ৯০ লাখ শিশু। ১৯৪৯ সালের পর এই প্রথম এক বছরে এত কম সংখ্যক শিশুর জন্ম দেখেছে দেশটি। দেশটির জনসংখ্যা গবেষকদের মতে, এই মুহূর্তে চীনের জন্মহার হওয়া উচিত ২ দশমিক ১; কিন্তু গত বছর জন্মহার ছিল ১-এর চেয়েও কম।
এদিকে জন্মহার কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন শিশুদের সংখ্যা কমছে, তেমনি অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বয়স্কদের সংখ্যা। যেসব কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে, সেসবের মধ্যে অনেকগুলোকে এরই মধ্যে বৃদ্ধ নিবাসে রূপান্তর করা হয়েছে। চীনের জনসংখ্যাবিদ হে ইয়াফু দেশটির দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শিশুদের সংখ্যা কমতে থাকলে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমবে— এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে একের পর এক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনো ইতিবাচক ব্যাপার নয়। আমার মতে, শিশুদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তির বয়সসীমা কমিয়ে ৩ বছর করে দেয়া উচিত।’