জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন কানাডা সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে বোঝা যাচ্ছে যে তারা ভারতকে শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করেছে। ভারতকে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত শনিবার একটি প্রেস কনফারেন্সে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এটি কানাডার আরেকটি কৌশল যার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রুডো প্রশাসনের অধীনে কানাডার সিনিয়র কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মতামতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি কানাডা তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনেই ভারতকে ‘সাইবার শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে কানাডার সরকার দাবি করেছে যে, ‘ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনে, সাইবার প্রোগ্রাম ব্যবহার করছে বলে মনে হয়। এই জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে গোয়েন্দাগিরি, সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ এবং ভারতের বৈশ্বিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত। আমরা মনে করি ভারতীয় সাইবার প্রোগ্রাম হয়তো বাণিজ্যিক সাইবার সরবরাহকারীদের সাহায্যে তার কার্যক্রম উন্নত করছে। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, আমরা মনে করি ভারতীয় রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষিত সাইবার হুমকিকারীরা সম্ভবত কানাডা সরকারের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির উদ্দেশ্যে সাইবার হুমকি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেসব দেশ বৈশ্বিক সিস্টেমে নতুন শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠতে চায়, যেমন ভারত, তারা সাইবার প্রোগ্রাম তৈরি করছে যা কানাডার জন্য বিভিন্ন মাত্রার হুমকি সৃষ্টি করছে।’