নাইজেরিয়ায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অংশ নেয়ার জন্য ২৯ শিশুসহ ৭৬ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ, ও সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২৯ জন কিশোরও রয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে নাইজেরিয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গণবিক্ষোভ হয়েছে। আগস্টে বিক্ষোভে গুলিচালনার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও শতাধিক গ্রেপ্তার হয়। শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী, নাইজেরিয়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ নেই। আইনজীবী আকিনতায়ো বালোগুন জানিয়েছেন, সরকার অভিযুক্তদের বয়স ১৯ বছরের বেশি প্রমাণ করতে না পারলে তাদের ফেডারেল হাই কোর্টে তোলা বৈধ হবে না। বিচারের শেষ পর্যায়ে প্রতিটি কিশোরকে কঠোর শর্তে এক কোটি নাইরার মুচলেকায় জামিন দেয়া হয়। আইনজীবী মার্শাল আবুবকর জানিয়েছেন, আটক শিশুদের ৯০ দিন ধরে অনাহারে আটকে রাখা হয়। সমাজকর্মী ইয়েমি আদামোলেকুন অভিযোগ করেছেন, শিশুদের বিচারের অধিকার সরকারের নেই, এবং দেশটির প্রধান বিচারপতিকে এ নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত। বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও, নাইজেরিয়া দরিদ্রতার সংকটে। দেশটির দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের কারণে নাগরিকদের জীবনযাত্রায় কষ্টের প্রতিফলন রয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা নাইজেরিয়াকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।