চীনের প্রতি কঠোর অবস্থানের কারণে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় দুই আইনপ্রণেতা মার্কো রুবিও এবং ক্রিস্টি নোয়েম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদের দৌড়ে রয়েছেন। ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা মাইকেল ওয়াল্টজ ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। গত মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে তাদের নিয়োগের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিবিএস বলছে, সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। তবে রুবিও ও ওয়াল্টজের অফিস এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পের প্রশাসন সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি দেশটির কংগ্রেসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। দলটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। এখনো কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা চলায় দলটি সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ অন্যান্য কিছু নিয়োগের জন্য সিনেটরদের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও ট্রাম্প দাবি করেছেন, পরবর্তী সিনেট নেতা তাকে এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে সহায়তা করবেন। তিনি সরাসরি অন্যান্য যেমন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে পারেন। রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সুসি ওয়াইলসকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া তার বিগত প্রশাসনের অভিবাসন কর্মকর্তা টম হোম্যানকে বর্ডার জার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদের জন্য মনোনীত করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রায় ৪ হাজার রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে পারেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের সময় মন্ত্রিসভা গঠনে কয়েক মাস সময় নিয়েছিলেন।