বায়ুদূষণের কবলে দিল্লি, বন্ধ হলো প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। শহরটির এয়ার কোয়ালিটি ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে শহরের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে দূষণ প্রতিরোধে দেয়া হয়েছে একাধিক নির্দেশনা। জানা গেছে, দূষণের প্রকোপে দিল্লি ছাড়াও রয়েছে নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ। বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারে দাঁড়িয়েছে। তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে যান ও বিমান চলাচল। এই কারণেই মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, দিল্লিতে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকেই কার্যকর হতে চলেছে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩’। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হলো- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন পঠনপাঠন। যে হারে দূষণ বাড়ছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা শিশুদের। তাই গতকাল শুক্রবার থেকে দিল্লির সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন পঠনপাঠন চলবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এখনই প্রয়োজন নেই, এমন নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণ কাজে ছাড় রয়েছে। পাশাপাশি বিএস ৩ এর নিচে থাকা পেট্রলচালিত গাড়ি ও বিএস ৪ এর নিচে থাকা ডিজেলচালিত গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাস চলাচলও। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে যা রিপোর্ট তাতে স্পষ্ট বলা যায়, দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ। তাই এসব পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পুরো চেষ্টা করছে সরকার। রাজধানীর দূষণ নিয়ে সমীক্ষায় এরই মধ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেছে, প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে একজন এই বিষাক্ত দূষণের শিকার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে গলাব্যথা বা কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়াসহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সমীক্ষকদের দাবি, দিল্লিতে যে হারে দূষণ বেড়েছে তা সরাসরি জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।