প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা করেছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ হামলা করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। খবর বিবিসির। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, রাশিয়া আজ ভোরে আস্ট্রখান অঞ্চল থেকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। একই সঙ্গে একই লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়ে তারা। ইউক্রেনের ডিনিপ্রো অঞ্চল লক্ষ্য করে রাশিয়া এ হামলা চালায়। ইউক্রেন যুদ্ধে এ ধরনের অত্যাধুনিক দূরপাল্লার অস্ত্র প্রথমবারের মতো ব্যবহার করল রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। সাধারণত, অন্য মহাদেশে শত্রুর ঘাঁটিতে হামলা করতে এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আরো বলেছে, তারা এ হামলার সময় ছয়টি কেএইচণ্ড১০১ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। এর মানে হচ্ছে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির সঙ্গে আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। রাশিয়া হয়তো চেয়েছে, ডিনিপ্রো অঞ্চলটিকে হঠাৎ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ‘এটিএসিএমএস’ (অঞঅঈগঝ) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। এরপর তা ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলাও শুরু করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির বাহিনী। এর কয়েকদিন পর আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল রাশিয়া। এ ছাড়া ইউক্রেনে আক্রমণের মাত্রাও বাড়িয়েছে পুতিনের বাহিনী। এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধ হারের আশঙ্কায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা। সেই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতির জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো।