রুশ বিমান হামলার আশঙ্কায় বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস আবারো চালু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে কিয়েভ দূতাবাসের কার্যক্রম চালু হয়েছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে গতকাল দিনের বেলায় দূতাবাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায় ইউক্রেন। এর পর ইউক্রেনে রাশিয়ার পাল্টা হামলার আশঙ্কা দেখা দেয়। এমন অবস্থায় গতকাল বিমান হামলা হওয়ার আশঙ্কায় কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে রাতে তা আবার খুলে দেয়া হয়েছে। ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে জানান, নিরাপত্তার কারণে দিনের শুরুতে কার্যক্রম স্থগিত রাখার পর কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস আবারও সেবা দেওয়া শুরু করেছে। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘আমরা ক্রমাগত মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার জন্য বলে যাচ্ছি। সর্বশেষ তথ্য পেতে ইউক্রেনের তথ্যসূত্রগুলোর দিকে নজর রাখতে বলেছি। আর বিমান হামলার ব্যাপারে সতর্ক সংকেত ঘোষণা করা হলে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশনা দিচ্ছি।’ এর আগে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, পর্যাপ্ত সতর্কতার কারণে কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ থাকবে। দূতাবাসের কর্মীদের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি সূত্র বলেছে, বিমান হামলার আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইতালি ও গ্রিস দূতাবাসের দরজাও বন্ধ ছিল। তবে ফ্রান্সের দূতাবাস খোলা ছিল। মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় চালানো ওই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি বলে উল্লেখ করেছে মস্কো। তবে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, অনলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মিথ্যা খবর ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।