ঢাকা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কানাডায় দিন দিন বাড়ছে ‘ইচ্ছামৃত্যু’ সংখ্যা

কানাডায় দিন দিন বাড়ছে ‘ইচ্ছামৃত্যু’ সংখ্যা

কানাডায় গত পাঁচ বছর ধরে বাড়ছে ইউথেনেশিয়া বা ইচ্ছামৃত্যুর সংখ্যা। ২০১৬ সালে ইচ্ছামৃত্যু আইনত বৈধ করার পর এই বিষয়ে দেশটির পঞ্চম বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসলো। ২০২৩ সালে কানাডায় প্রায় ১৫,৩০০ জন কানাডায় মেডিকেল অ্যাসিস্টেড ডাইং বা ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করেছেন, যা দেশটির মোট মৃত্যুর ৪.৭ শতাংশ। ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৯৬ শতাংশের স্বাভাবিক মৃত্যুর সম্ভাবনা ছিল, বাকিরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছিলেন। গড় বয়স ছিল ৭৭ বছর, এবং ক্যান্সার ছিল ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করার প্রধান কারণ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইচ্ছামৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ, যদিও আগের বছর বড়েছিল ৩১ শতাংশ। জাতিগতভাবে, ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণকারীদের ৯৬ শতাংশ ছিলেন শ্বেতাঙ্গ। দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী ছিল পূর্ব এশীয় (১.৮ শতাংশ)। কুইবেক প্রদেশে ইচ্ছামৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, যা দেশের মোট ইচ্ছামৃত্যুর ৩৭ শতাংশ। এর কারণ নির্ধারণে কুইবেক সরকার একটি গবেষণা শুরু করেছে। ইচ্ছামৃত্যু আইন সম্প্রসারণ নিয়ে দেশটিতে এখন আলোচনা-সমালোচনা চলমান। ২০২১ সালে এর আওতা সম্প্রসারিত করে এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের মৃত্যুর নিকট সম্ভাবনা নেই কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক রোগীদের জন্য এটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হলেও প্রদেশগুলোর উদ্বেগের কারণে তা স্থগিত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত