ঢাকা ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত

১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনই নিহত

১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনই নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার দেশটির ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ।

এর আগে, জেজু এয়ারের বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিমানটি ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন কেবিন ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফিরে যাচ্ছিল। ইয়োনহাপ জানায়, উদ্ধার অভিযান চলাকালে দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে। সংস্থাটি আরো জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনার কারণ বা রানওয়ে থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে ইয়োনহাপ জানিয়েছে, পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে, সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং বিমানবন্দরের দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই বিমানের এক অংশে আগুন ধরে যায়।

আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশের দিকে উঠছে। দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়ি ঘটনাস্থলে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিওটি প্রকাশ করেছে রয়টার্স। বার্তা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওটি লি জিউন-ইয়ং নামের এক ব্যক্তির সৌজন্যে পাওয়া।

বিধ্বস্তের আগে যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন বিমান যাত্রী : ওই বিমানের ভেতর থাকা এক যাত্রী দুর্ঘটনার আগমুহূর্তে তার আত্মীয়কে বার্তা পাঠান। যেটিতে তিনি লেখেন, ডানায় একটি পাখি আটকে আছে। আমরা অবতরণ করতে পারছি না। এই মুহূর্তে আমি কী (মৃত্যুর আগে) শেষ বার্তা দিয়ে যাব? স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এমন বার্তা দেখতে পেয়ে ওই যাত্রীর আত্মীয় তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।

কিন্তু তার কাছ থেকে আর কোনো সাড়া পাননি। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, সেটিও এই আত্মীয় আর জানেন না। বিমানটি স্থানীয় সকাল ৯টার একটু পর ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়া ক্স্যাশ ল্যান্ডিং করে। এরপর এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে আঘাত হানে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হন। মুয়ান ফায়ার বিভাগের প্রধান লি জিয়ং-হুন জানিয়েছেন, তাদের ধারণা পাখির আঘাতে অথবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে হয়ত বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পাখির আঘাত অথবা খারাপ আবহাওয়াকে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যৌথ তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তীতে দুর্ঘটনার কারণ জানানো হবে। ‘ওই যাত্রীর বার্তা থেকে যা বোঝা যাচ্ছে বিমানটিতে একটি পাখি আঘাত করেছিল। যেটি আবার ডানায় আটকে যায়। এতে ত্রুটির সৃষ্টি হয়ে বিমানটি আর স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত