প্রতি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে গোটা দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে চলে আলোর খেলা। আতশবাজি, লেজার লাইটের আকর্ষণীয় আলোয় ছেয়ে যায় দেশটি। তবে, এবারের চিত্রটা ভিন্ন। ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু এবার নতুন বছরের খুশিকে যেন ম্লান করে দিয়েছে। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার কোথাও ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন করা হয়নি। বিমান বিধ্বস্ত ও প্রাণহানির শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ, ঘোষণা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় শোক, যা চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। নতুন বছরের কাউন্টডাউন, ড্রোন শো, আতশবাজি প্রদর্শনসহ সব ধরনের আয়োজন বাতিল করে কোথাও নববর্ষ উদযাপন না করার নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে দেশটিতে এবার রাত ১২টায় সিউলের রেড রোড কাউন্টডাউন ইভেন্ট, স্কাই পার্ক সানরাইজ ফেস্টিভ্যাল, সিওডাইমুন শহরে সিনচন কাউন্টডাউন কনসার্ট ও আনসানে উইশ সানরাইজ ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন স্থানের সূর্যোদয় ঘিরে নানা আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে। গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। এতে উজোজাহাজটির ১৮১ জন আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত হন। এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার কোনো কারণ নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে হতে পারে। বিবিসি এর আগে জানিয়েছিল, কর্মকর্তারা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি ব্ল্যাক বক্স অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন। একটি ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ভয়েস রেকর্ডার অপরিবর্তিত রয়েছে। তদন্তকারীদের একজন জানিয়েছেন, ক্ষতির কারণে তথ্য উদ্ধার করতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।