গাজাবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে গতকাল রোববার। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, বিনিময়ে ৯০ জন কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর অনলাইন বক্তৃতায় হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেন, ‘অপারেশন আল আকসা তুফান’ নামে ইসরায়েলে যারা আচমকা আঘাত হেনেছেন, সেই ফিলিস্তিনি ভাইদের মহান ত্যাগ ও রক্তপাত বৃথা যায়নি। অপারেশন আল-আকসাই ইসরায়েলি শাসনের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠুকে দিয়েছে। খবর মেহের নিউজের। কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেন, হামাস গাজা উপত্যকাজুড়ে অন্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে এক হয়ে লড়াই করেছে। পাশে থাকার জন্য ইরানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অটল সমর্থনের জন্য আমরা ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান এবং ইয়েমেনের আনসারুল্লাহকে (ব্রিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠী) ধন্যবাদ জানাই। এ অঞ্চলে ইহুদিবাদী সত্ত্বাকে একীভূত করার সব প্রচেষ্টা গভীরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অপারেশন আল আকসা তুফান নামে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা। সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৫ মাসের সেই ভয়াবহ অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ হাজার মানুষ। তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে গাজায়। গত রোববার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টা থেকে শুরু হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি। বিরতির প্রথম দিন ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, বিনিময়ে ৯০ জন কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল।