মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলের নাটোগি টাউনশিপে প্রতিরোধ বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) হামলায় অন্তত ৫০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া বহু অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অন্তত ১৪ সেনাকে আটক করা হয়েছে। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স ও এর মিত্র বাহিনীগুলোর বরাতে এ খবর জানিয়েছে দ্য ইরাবতী। মান্দালয় অঞ্চলের মাদায়া টাউনশিপে একটি বাড়ির ওপর বোমা ফেলেছে জান্তার যুদ্ধবিমান। এতে একই পরিবারের অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপড়ুয়া একজন কিশোরীও রয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ। দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মান্দালয়ে গত কয়েক মাস ধরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গত গত রোববার ভোরে সামরিক কৌশলবিদ জেয়ার অং-এর নির্দেশে জান্তা-বিরোধী প্রতিরোধ গোষ্ঠী পিডিএফ যোদ্ধারা প্রায় ২০০ জন জান্তা সেনার ওপর আক্রমণ শুরু করে। প্রতিরোধ সংগঠনের মতে, নাটোগি টাউনশিপের উত্তরে ওয়েটলু গ্রামের একটি পুলিশ স্টেশনে পিছু হটতে বাধ্য হওয়ার পর সেনাদলটি যখন গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, ঠিক তখন এই আক্রমণটি চালানো হয়। এতে অনেক সেনা আহত হয়। কেউ কেউ আহতদের নিয়ে পালায়। নাটোগি পিডিএফের তথ্য অনুসারে, এই হামলায় প্রায় ২৭ জন সরকারি সেনা নিহত হয় এবং মেজর উইন হ্লাইং উ এবং ক্যাপ্টেন অং কো কোসহ অন্তত ১৪ জনকে আটক করা হয়।
পিডিএফ আরও জানায়, গত মঙ্গলবার ওয়েটলু থানায় আরও ১৫ জন সেনা আহত এবং আরও ২০ জন নিহত হয়। সংঘর্ষে তিনজন প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়। মিয়ানমার নাউ-এর প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবার মান্দালয় অঞ্চলের মাদায়া টাউনশিপে ওয়া থোন দা রা ও মিয়া কান থার গ্রামে বিমান হামলা চালানো হয়। এ সময় একটি বোমা একটি বাড়িতে আঘাত হানে। এতে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ১০ বছর বয়সি কিশোরী রয়েছে। মাদায়া টাউনশিপের ষাটোর্ধ এক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি বলেন, ‘বিমান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হয় এবং তারপর একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। আমি জানি না এটি বোমা ছিল নাকি ওপরের কোনো অস্ত্র থেকে ছোড়া হয়েছিল।’