ঢাকা রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

একমাসে গাজায় একটিও ত্রাণের ট্রাক ঢোকেনি

একমাসে গাজায় একটিও ত্রাণের ট্রাক ঢোকেনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বিশ্ববাসীর সামনে নারকীয় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইসরায়েল। শুধু বোমা হামলা চালিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি দখলদাররা। অবশিষ্ট গাজাবাসীকে অনাহারে মারার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। গত একমাস ধরে গাজায় ত্রাণের একটি ট্রাকও প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল। কোনো খাবার না, বাণিজ্যিক কোনো কিছু না, কোনো জ্বালানি না, রান্নার কোনো গ্যাস না, এমনকি ওষুধও না। এমনকি কোনো তাঁবু বা আশ্রয় উপকরণও না। খবর আল-জাজিরার। তার ওপর উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। সঙ্গে সেখানে একমাস ধরে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদাররা। এতে সেখানকার পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ হয়ে পড়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা গতকাল রোববার জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হচ্ছে। সাংবাদিক হিন্দ খোদারি গাজার দের এল-বালাহ থেকে বলেন, এখানে এখনও সকাল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফিলিস্তিনিরা খাবারের সন্ধান করছে যেন তারা তাদের পরিবারকে খাওয়াতে পারে। এমন অবস্থায় এখানকার দমবন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা দেখছি অনেক মানুষ এক গ্যালন স্বাস্থ্যকর পানির জন্য লাইন ধরছেন। আমরা দেখছি ফিলিস্তিনিরা গরম খাবারের জন্য বিভিন্ন কিচেনে লাইন ধরছেন। কিন্তু এই কিচেনগুলোর রসদও ফুরিয়ে যাওয়ায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাদের সেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্যসেবা খাতও বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এত মানুষ আহত হয়েছেন যে, হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে যে চিকিৎসা দেয়া হবে সেটির সুযোগ নেই। কারণ চিকিৎসা সরঞ্জামেরই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ১২ ঘণ্টায় দখলদাররা খান ইউনিস এলাকা লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে। সেখানে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনিসের কয়েকটি আবাসিক ভবন ও অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। তারা সেখান থেকেই বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত