আবু নাদরাহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি ইবনে ওমর ও ইবনে আব্বাস (রা.)-কে সরফ (স্বর্ণ-রুপার বিনিময়) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা উভয়েই এতে কোনো দোষ মনে করেন না। এরপর একদিন আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তাকেও সরফ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। বললেন, ‘যা অতিরিক্ত হবে, তা সুদ।’ আমি তাদের দু’জনের অভিমতের পরিপ্রেক্ষিতে তার এ কথা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালাম। জবাবে তিনি বললেন, আমি শুধু সেটাই বলব, যা রাসুল (সা.)-এর কাছে শুনেছি। তা হলো, এক খেজুর বাগানের মালিক উন্নত মানের এক সা খেজুর নিয়ে রাসুল (সা.)-এর কাছে এলো, অথচ রাসুল (সা.)-এর খেজুর ছিল ভিন্ন রঙের। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি এগুলো কোথায় পেয়েছ?’ সে বলল, ‘আমি দুই সা খেজুর নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম। তা দিয়ে এই এক সা খেজুর কিনেছি। বাজারে সেগুলোর প্রচলিত দাম এমনই। এই উন্নত মানের খেজুরের প্রচলিত দাম এই।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি তো সুদি কারবার করেছ। যদি তুমি এ রকম করতে চাও, তাহলে প্রথমে তোমার খেজুরগুলো নগদ মূল্যে বিক্রি করে দাও। এরপর সে মূল্য দিয়ে তোমার পছন্দের খেজুর কিনে নাও।’
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, খেজুরের বিনিময়ে মানের ভিত্তিতে ওজনের তারতম্যে খেজুর কেনাবেচা করার মধ্যে সুদের উপাদান থাকাটা খুবই স্বাভাবিক অথবা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ ওজনের তারতম্যে লেনদেন করার মধ্যে সুদ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। আবু নাদরাহ (রহ.) বলেন, পরবর্তী সময়ে ইবনে ওমর (রা.)-এর কাছে এলে তিনিও আমাকে এ ধরনের কেনাবেচা থেকে নিষেধ করলেন। আবু সাহাবা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, ‘আমি এই মাসআলা সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনিও এ ধরনের কেনাবেচার অনুমোদন দেননি।’ (মুসলিম : ১৫৯৪)।