ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুফতি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

সাবেক সহকারী মুফতি, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা), টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
মুফতি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

প্রশ্ন : মোবাইলে এমপি থ্রি, ক্যামেরা এবং ভিডিও, ইন্টারনেটসহ সবধরনের সুবিধা রয়েছে। এগুলো ভালো-খারাপ উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। এসব সুবিধাযুক্ত মাল্টিমিডিয়া মোবাইল বেচাকেনা করা জায়েজ হবে?

উত্তর : বেচাকেনা জায়েজ। তবে অবৈধ কোনো কাজে তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়। (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩৯১, আল-বাহরুর রায়েক : ৮/২০২, জাওয়াহিরুল ফিকহ : ২/৪৪৬, বুহুস ফি কাজায়া ফিকহিয়্যাহ : ১/৩৫৯)।

প্রশ্ন : চুরি বা ছিনতাইকৃত মোবাইল কেনা যাবে?

উত্তর : ছিনতাইকৃত বা চোরাই মোবাইল জেনেশুনে কেনা জায়েজ নেই। কেউ কিনলেও তা ব্যবহার করা বৈধ হবে না। বরং মালিক জানা থাকলে মূল মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে ক্রেতাণ্ডবিক্রেতার কাছ থেকে মূল্য ফেরত নিতে পারবে। মালিকের সন্ধান পাওয়া না গেলেও বিক্রেতার কাছ থেকে মূল্য ফেরত নিতে পারবে। (আল মুহিতুল বোরহানি : ৭/৫৯, বাদায়েউস সানায়ে : ৬/৪৫, ফতোয়ায়ে খানিয়া : ৩/৪১৮, ফাতহুল কাদির : ৫/১৬৯)।

প্রশ্ন : মোবাইলের রিংটোন, মিউজিক, গান, ভিডিও-ছবি বা ইন্টারনেট ইত্যাদি লোডের ব্যবসা করা যাবে?

উত্তর : মিউজিক সংবলিত গান, প্রচলিত অশ্লীল ছবির ভিডিও ফিল্ম, অবৈধ চিত্র ইত্যাদির ডাউনলোড ব্যবসা নাজায়েজ। কারণ, এতে নিজের তো গোনাহ হয়ই, উপরন্তু অন্যের কাছে গোনাহের উপকরণ সরবরাহ করা হয়। তাই এ ধরনের ডাউনলোড থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল হবে না। তবে কোনো বৈধ চিত্র, মিউজিক ছাড়া রিংটোন, বাদ্যহীন গজল ইত্যাদি ডাউনলোড করা জায়েজ এবং এর থেকে অর্জিত টাকাও হালাল। (বোখারি : ১/২৯৮, তিরমিজি : ১/২৪১, মুসলিম : ২১৯, শরহে নববি : ২/২৯, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৫৫, আল বাহরুর রায়েক : ৮/১৯)।

প্রশ্ন : স্ক্র্যাচকার্ডের গায়ের মূল্যের চেয়ে কমবেশিতে বেচাকেনা করা জায়েজ হবে?

উত্তর : স্ক্র্যাচকার্ডের গায়ের মূল্য একটি নির্ধারিত পরিমাণ টেলিযোগাযোগ সুবিধা তথা আউটগোয়িং সেবা প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যান্য সেবার মতো এটিও বিক্রিযোগ্য সেবা। সুতরাং কার্ডের গায়ের দাম যেহেতু টাকা নয়, তাই কমবেশিতে বিক্রি করা যাবে। তবে কোম্পানি থেকে পণ্যের বা সেবার মূল্য নির্ধারিত করে দিলে ওই নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করা নিয়ম। কমবেশি করা ঠিক নয়। কেননা, এতে বাজারের স্বাভাবিকতা বাধাগ্রস্ত হয়। (ফাতহুল কাদির : ৬/১৫৯, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম : ১/৪০০)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত