ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারসাম্যহীন জীবনধারায় যা কাম্য

আবদুল্লাহ নোমান
ভারসাম্যহীন জীবনধারায় যা কাম্য

পার্থিব এ জীবন ক্ষণস্থায়ী। ক্ষণিকের এ পান্থশালা ফলে-ফুলে সুশোভিত কোনো উদ্যান নয়। নয় চিরস্থায়ী বসবাসের নির্মল আবাস। দু’দিনের এ জীবন একটি অপশ্রীয়মান ছায়ার মতো, গ্লাসের তলায় পড়ে থাকা সামান্য অবহেলিত পানির মতো। বালু সাগরে পতিত এক ফোঁটা নগণ্য পানিমাত্র এ জগতের যাবতীয় দৃষ্টিনন্দন ভোগ্যসামগ্রী। যার অস্তিত্ব চোখে পড়ার আগেই বিলীন হয়ে যায়। পার্থিব জীবনের মোহ সম্পর্কে সতর্ক করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ! নিশ্চয়ই আল্লাহর অঙ্গীকার সত্য। সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদের কিছুতেই ধোঁকায় না ফেলে এবং আল্লাহর সম্পর্কেও যেন ধোঁকাবাজ শয়তান তোমাদের ধোঁকায় না ফেলে। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তাকে শত্রুই গণ্য করো। সে তার অনুসারীদের দাওয়াত দেয় এ জন্যই, যেন তারা জাহান্নামবাসী হয়ে যায়।’ (সুরা ফাতির : ৫-৬)।

মরীচিকাময় জীবন

দুনিয়ার জীবন সূর্যের আলোর সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে। দিনের শুরুতে লাল রাঙা সূর্য পূবাকাশে ধীরে ধীরে উদিত হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে তার তেজ, প্রখর হয় তার আলো। একসময় পৌঁছে যায় মধ্যগগণে। এ যেন তার শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ। তারপর ধীরে ধীরে সে নিস্তেজ হতে থাকে। ম্রিয়মান হতে থাকে তার তেজষ্ক্রিয়তা। একপর্যায়ে সে অস্ত যায় পশ্চিমাকাশে। পৃথিবীতে নেমে আসে সন্ধ্যার অন্ধকার। তখন আর কোথাও সূর্যের আলো খুঁজে পাওয়া যায় না। এ যেন তার যৌবনের উচ্ছলতা হারিয়ে বার্ধক্যের নুয়ে পড়া জীবনের সঙ্গে আলিঙ্গন। পরিশেষে সব মায়া-প্রীতি বন্ধন ছেড়ে কবরে গমন। দিনের সন্ধ্যা কখন নামবে, তা অনুমান করা যায়; ঘণ্টা-মিনিট হিসেব করে নির্দিষ্টও করা যায়; কিন্তু জীবনের সন্ধ্যা কখন নামবে, তা জানেন শুধু জগতের স্রষ্টা। সন্ধ্যা যখন নামবে, ক্ষণিকের এ জীবনে আর কখনোই উদিত হবে না সূর্য। অথচ মানুষ নির্মম এ পরিণতির কথা আস্ত ভুলে যায়। বিত্ত-বৈভব, যশ-খ্যাতি, ও ক্ষমতাণ্ডপ্রতিপত্তির পেছনেই হন্যে হয়ে দৌড়ায়। এসব তুচ্ছ বস্তুর পেছনেই জীবনের প্রায় সবটুকু সময় বিনিয়োগ করে ফেলে। আখেরাতের পুঁজি সঞ্চয়ের জন্য খুব অল্প সময়ই বরাদ্দ রাখে। অথচ উচিত ছিল দুনিয়াকে শুধু ততটুকুই ভোগ-ব্যবহার করা, যতটুকু প্রয়োজন আখেরাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং পরম আরাধ্য জান্নাত লাভের জন্য; কিন্তু পিঁপড়া যেমন মধুর ফোঁটায় ঢুকে আটকে পড়ে যায়, আমরাও দুনিয়ার মায়াজালে সূক্ষ্মভাবে আটকা পড়েছি। যেন এ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছাই নেই আমাদের। তাই ভঙ্গুর দুনিয়ার এ জীবনকে খেল-তামাশা আখ্যা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘দুনিয়ার জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য আখেরাতের আবাসই উত্তম। অতএব, তোমরা কি অনুধাবন করো না?’ (সুরা আনআম : ৩২)।

ছলনাময় জীবন

মানুষের জীবনকালকে সাধারণত চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। যেমন- ক. রুহানি জীবন অর্থাৎ দুনিয়াতে আগমনপূর্ব জীবন, খ. দুনিয়ার জীবন, গ. মৃত্যু-পরবর্তী কবর বা বরযখের জীবন এবং ঘ. হাশর মাঠে উত্থানের পর জান্নাত বা জাহান্নামের অনন্ত জীবন। কখনও এ শ্রেণিবিন্যাসকে দু’ভাগে বিভক্ত করে বলা হয়, দুনিয়ার জীবন এবং আখেরাতের জীবন। এখানে আখেরাতের জীবন বলতে কবরের জীবন ও হাশরের মাঠে উত্থান-পরবর্তী জীবনকালকে বোঝানো হয়ে থাকে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কালকে দুনিয়ার জীবন বলে অভিহিত করা হয়। এ জীবনকাল খুবই স্বল্প এবং ক্ষণস্থায়ী। পক্ষান্তরে আখেরাতের জীবন দীর্ঘ ও চিরস্থায়ী। পার্থিব জীবনের বাস্তবতা শুধু এতটুকুই, যেমন ছোট শিশুরা কিছুক্ষণের জন্য নেচে-গেয়ে আমোদণ্ডপ্রমোদ করে, আনন্দণ্ডফূর্তিতে মেতে ওঠে। তারপর যার যার ঘরে চলে যায়। জীবনের কোনো পর্বই এখানে স্থায়ী নয়। যে যে অবস্থায়ই আছে, সাময়িকভাবে একটি সীমিত সময়ের জন্যই আছে। এ জীবন একটি মায়াজাল। যেখানে আটকে পড়ে মানুষ প্রকৃত জীবনকে ভুলে যায়। আখেরাতের সোনালি পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এ দুনিয়ার জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়, আর আখেরাতের জীবনই তো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত?’ (সুরা আনকাবুত : ৬৪)। তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়ার জীবন তো আখেরাতের তুলনায় ক্ষণস্থায়ী ভোগমাত্র।’ (সুরা রাদ : ২৬)। বস্তুত ক্ষণিকের এ জীবনকে ছলনাময়। পৃথিবীর শুরুলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সে অসংখ্য বনী আদমকে তার দিওয়ানা বানিয়েছে। তার মেকি রূপ-রস-গন্ধে আকৃষ্ট করেছে তার প্রেমে। একপর্যায়ে যখন জান্নাতের আলোকিত পথ থেকে তাদের বিভ্রান্ত করে তার স্বার্থ হাসিল হলো, তখন তাদের সঙ্গে চরম প্রতারণা করে পালিয়েছে অন্য দুনিয়াদার প্রেমিকের সঙ্গে। তাই এ ছলনাময়ী জীবনের স্বরূপ উন্মোচন করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘দুনিয়ার জীবন ছলনাময় ভোগ ছাড়া আর কিছু নয়।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫)।

জীবনের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ

পার্থিব জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা কিছু হয় এবং যাতে দুনিয়াদার ব্যক্তি মগ্ন ও আনন্দিত থাকে, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে বলতে গেলে যথাক্রমে এই দাঁড়ায়- প্রত্যেক মানুষের জীবনের প্রথম অংশ ক্রীড়া ও খেল-তামাশার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। এরপর শুরু হয় চিত্ত বিনোদনমূলক খেলাধুলা ও ক্রীড়া-কৌতুক। তারপর শুরু হয় অঙ্গসজ্জা ও পোশাক ইত্যাদির মোহ। এতে মানুষ মোহাবিষ্ট ও প্রলুব্ধ হয়। তারপর শুরু হয় পারস্পারিক বিত্ত-বৈভব ও ধনাশ্যৈর্যের অহংকারের জোয়ার। এ মিথ্যা অহমিকা তাকে মাতাল করে ছাড়ে। তারপর শেষ বয়সে সমসাময়িক ও সমবয়সীদের সঙ্গে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির প্রতিযোগিতার প্রেরণা সৃষ্টি হয়। এর শেষ কোথায়, তার কুল-কিনারা খুঁজে পাওয়া যায় না। হঠাৎ এক সময় সে পাড়ি জমায় অনন্ত জগতে। পার্থিব এ জীবনের উল্লিখিত ধারাবাহিকতার প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘জেনে রেখ, পার্থিব জীবন তো শুধু খেলাধুলা, বাহ্যিক সাজসজ্জা, তোমাদের পারস্পরিক অহংকার প্রদর্শন এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে একে অন্যের ওপর থাকার প্রতিযোগিতারই নাম। তার উপমা হলো দৃষ্টি, যা দ্বারা উদ্গত ফসল কৃষকদের মুগ্ধ করে দেয়, তারপর তা তেজস্বী হয়ে ওঠে। তারপর তুমি দেখতে পাও তা হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে। অবশেষে তার জন্য বিচূর্ণ হয়ে যায়। আর আখেরাতে (এক তো) আছে কঠিন শাস্তি এবং (আরেক আছে) আল্লাহর পক্ষ হতে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা হাদিদ : ২০)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকি ওসমানি বলেন, ‘এখানে আল্লাহতায়ালা মানুষের বিভিন্ন চিন্তাকর্ষক জিনিসের উল্লেখ করেছেন। মানুষ তার জীবনের একেক পর্যায়ে একেকটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে; যেমন- শৈশবে তার আকর্ষণ থাকে খেলাধুলার দিকে, যৌবনকালে সাজসজ্জা-বেশভূষার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং সেই সাজসজ্জা ও পার্থিব অন্যান্য সাজ-সরঞ্জামে একে অন্যের ওপর চলে যাওয়ার ও তা নিয়ে অহমিকা দেখানোর আগ্রহ দেখা দেয়। তারপর আসে বার্ধক্য। তখন মানুষের যাবতীয় চিন্তাভাবনা আবর্তিত হয় সম্পদ ও সন্তানকে কেন্দ্র করে। তখনকার চেষ্টা একটাই, কীভাবে সম্পদে অন্যকে ছাড়িয়ে যাবে এবং সন্তানের দিক থেকেও অন্যের ওপরে থাকবে। প্রতিটি স্তরে মানুষ যে জিনিসকে তার আকর্ষণ ও চাহিদার সর্বোচ্চ শিখর মনে করে, পরবর্তী স্তরে সেটাই তার কাছে বিলকুল মূল্যহীন হয়ে যায়; বরং অনেক সময় মানুষ এ ভেবে মনে মনে হাসে যে, আমি কোনো জিনিসকে জীবনের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলাম! অবশেষে যখন আখেরাত আসবে, তখন মানুষ উপলব্ধি করবে, আসলে দুনিয়ার আকর্ষণীয় সবকিছুই ছিল মূল্যহীন। প্রকৃত অর্জনীয় জিনিস তো ছিল এ আখেরাতের সুখণ্ডস্বাচ্ছন্দ্যই।’ (তাফসিরে তাওযিহুল কোরআন : ৩/৪৫২-৪৫৩)।

প্রাধান্য দিতে হবে পরকালকে

চরম বাস্তবতা হলো, এ জগত সংসারে আমরা কেউ এক সময় ছিলাম না, সামনেও থাকব না। আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় সাময়িক কিছুদিন বিচরণ করছি এ ধরায়। আবার তার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে নিঃসন্দেহে। যে কোনো সময় চলে আসতে পারে পরপারের ডাক। যে কোনো বয়সে সাজানো এ জগতকে আমাদের জানাতে হবে চিরবিদায়। অথচ দুনিয়াপ্রীতি আমাদের এমনভাবে গ্রাস করে ফেলেছে যে, তা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের কথা প্রায় ভুলিয়ে দিয়েছে। ফলে আমরা জীবনের অঙ্গনে ও সাধনার প্রাঙ্গণে ইহকালীন জীবনকেই প্রাধান্য দিই। দুনিয়ার ভোগ-উপভোগের ভেলায় ভাসতে থাকি লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যহীন। নশ্বর এ বসুন্ধরার চাকচিক্যে মোহাবিষ্ট হয়ে বিচ্যুত হয়ে পড়ি জান্নাতের স্বপ্নীল পথের সরলরেখা থেকে। আমরা ভুলে বসি করুণাময় আমাদের এ নিখিল বিশ্বে পাঠিয়েছেন এক মহান উদ্দেশ্যে। আর তা হলো, আমৃত্যু শরিয়তের বিধি-নিষেধ যথাযথ পালন করে রবের প্রিয় পাত্র হওয়া এবং দুনিয়ার জীবন থেকে পরবর্তী জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করে চির সুখময় জান্নাত লাভে ধন্য হওয়া। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা জীবনের পরতে পরতে ক্ষণিকের এ জীবনকেই প্রাধান্য দিই। ভুলে যাই আমাদের আসল নিবাস চিরস্থায়ী আখেরাত। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও, অথচ আখেরাত সর্বোৎকৃষ্ট ও চিরস্থায়ী।’ (সুরা আলা : ১৬-১৭)। মনে রাখতে হবে, এ জীবন হলো মৃত্যু-পরবর্তী সুখ লাভের জন্য কর্মক্ষেত্র। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান হলো সেই ব্যক্তি, যে নিজের প্রবৃত্তিকে দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী সুখ লাভের জন্য আমল করে। আর সেই ব্যক্তি নির্বোধ ও অক্ষম, যে তার নফসের (কুপ্রবৃত্তির) দাবির অনুসরণ করে আর আল্লাহর কাছে বৃথা আশা পোষণ করে।’ (তিরমিজি : ২৪৫৯)।

পার্থিব চিন্তাধারায় ভারসাম্য

দুনিয়ার স্বরূপ উন্মোচনে অনেকে প্রান্তিকতার শিকার, বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িতে লিপ্ত। এক শ্রেণি দুনিয়া সম্পর্কে একেবারেই গাফেল, আর অপর শ্রেণি আখেরাত সম্পর্কে চরম উদাসীন। প্রথম দলের ধারণা, দুনিয়ার প্রতি নির্মোহই হলো জীবনের সবকিছু। দুনিয়াকে সর্বদা ফেতনা-ফ্যাসাদরূপে কল্পনা করতে করতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে ছিটকে পড়ে। ভারসাম্য হারিয়ে বৈরাগ্যের পথে হাঁটে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, সামাজিক বন্ধন এবং নিজ দায়িত্ব থেকে তারা সরে যায় অনেক দূরে। আমাদের বুঝতে হবে, এ দুনিয়ারও একটা মূল্য আছে। কেননা, এখানে থেকেই আখেরাতের সম্বল গোছাতে হবে। দুনিয়াটা যদি এতই ফেলনা হতো, আল্লাহতায়ালা সুলাইমান (আ.)-কে পৃথিবীর রাজত্ব দান করতেন না। ইউসুফ (আ.)-কে মিশরের মর্যাদার সিংহাসনে বসাতেন না। দুনিয়ায় যা কিছু কল্যাণকর, তা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এ জন্যই রাব্বে কারিম তাঁর বান্দাদের ইহ-পরকালীন জীবনের কল্যাণ তাঁর কাছ থেকে চেয়ে নেয়ার দোয়া শিখিয়েছেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দান করো দুনিয়ায়ও কল্যাণ এবং আখেরাতেও কল্যাণ। আর আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা বাকারা : ২০১)। আবার এটাও ঠিক, দুনিয়ার চাকচিক্যে মোহাবিষ্ট হয়ে নিজের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল আখেরাতকে ভুলে যাওয়া চরম বোকামি ও অতিমাত্রার বিভ্রান্তি।

লেখক : মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া হেমায়াতুল ইসলাম কৈয়গ্রাম, পটিয়া, চট্টগ্রাম

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত