জাকাত না দেয়ার পরিণতি
আ.স.ম আল আমিন
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জাকাত না দিলে পরকালে আগুন দিয়ে সেঁক দেয়া হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা স্বর্ণ ও রুপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় না করে, তুমি তাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও। সেদিন জাহান্নামের আগুনে ওইগুলোকে উত্তপ্ত করা হবে। সেগুলো দ্বারা তাদের ললাটগুলোতে, পার্শ্বদেশগুলোতে এবং পৃষ্ঠদেশগুলোতে দাগ দেয়া হবে। আর বলা হবে, এটা হচ্ছে ওটাই, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। সুতরাং এখন নিজেদের সঞ্চয়ের স্বাদ গ্রহণ কর।’ (সুরা তওবা : ৩৪-৩৫)।
সম্পদ দ্বারা পোড়ানো হবে
জাকাত না দিলে সেই সম্পদ দিয়ে ধনবান ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন পোড়ানো হবে। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘স্বর্ণ-রুপা (ও সম্পদের) মালিকদের মধ্যে যারা দরিদ্রদের হক (জাকাত) দেয় না, তারা কেয়ামতের দিন ভয়ানক আজাব ভোগ করবে। তাদের জন্য আগুনের পাত তৈরি করে দোজখের আগুনে তা উত্তপ্ত করে তাদের দেহের দু’পাশে, কপালে ও পিঠে সেঁক দেয়া হবে। সেঁক দিতে দিতে যখন তা ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখনই এটিকে আবার ওইদিন যেদিন দুনিয়ার ৫০ হাজার বছরের সমান সেই দীর্ঘ সময় (বারবার) উত্তাপ দিয়ে সেঁক দিতে থাকবে বিচার ফয়সালার শেষ সময় পর্যন্ত, যখন সে জেনে যাবে, সে কি জান্নাত নাকি জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম : ৯৮৭)।
আগুনের চুড়ি পরানো হবে
একবার রাসুল (সা.) এক নারীর হাতে দু’টি স্বর্ণের চুড়ি দেখে এগুলোর দিকে ইংগিত করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি এ সোনার চুড়ির জাকাত দাও?’ উত্তরে নারীটি বলল, ‘না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘এ দু’টির বিনিময়ে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তোমাকে আগুনের দু’টি চুড়ি পরিয়ে দিলে তাতে কি তুমি খুশি হবে?’ এ কথাটি শোনামাত্রই নারীটি চুড়ি দু’টি ফেলে দিলো। এরপর বলল, এ দু’টো জিনিস আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্য।’ (অর্থাৎ আল্লাহর পথে খরচের জন্য দিয়ে দিলেন)। (সুনানে আবি দাউদ : ১৫৬৩)।
ফেরেশতারা বদদোয়া করে
যারা জাকাত ফরজ হওয়ার পরও জাকাত না দেয় বা জাকাত দিতে গড়িমসি করে, প্রতিদিন ফেরেশতারা তাদের জন্য লাগাতার বদদোয়া করতে থাকে। রাসুল (সা.) বলেন, প্রতিদিন ভোরবেলা একজন ফেরেশতা এ ভাষায় বদদোয়া করে যে, ‘হে আল্লাহ! দান থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে ধ্বংস করে দাও; তাকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে দাও।’ (বোখারি : ১৪৪২)।