প্রশ্ন : কারও কাছে হজে যাওয়ার টাকা আছে। কিন্তু তার এখন বিয়ে করারও প্রয়োজন। এ টাকা দিয়ে হজ করলে বিয়ের খরচের জন্য টাকা থাকবে না, আর বিয়ে করলে হজ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে তার জন্য কি হজ করা জরুরি?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হজের টাকা জমা দেয়া ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার শেষ সময়ের আগেই যদি লোকটি বিয়ে করে ফেলে, আর বিয়েতে ওই টাকা খরচ হয়ে যায়, তবে তার ওপর হজ ফরজ হবে না। কিন্তু হজের প্রস্তুতি গ্রহণের শেষ সময় পর্যন্ত যদি ওই টাকা খরচ না হয়, তবে ওই টাকার কারণে তার ওপর হজ ফরজ হয়ে যাবে। (ফতোয়ায়ে ওয়ালওয়ালিজিয়্যা : ১/২৫৪, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২১৭, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪৭৩, ফাতহুল কাদির : ২/৩২৩, গুনইয়াতুন নাসিক : ২২, বাদায়েউস সানায়ে : ২/৩০১)।
প্রশ্ন : আমি ‘ইসলামিক নলেজ’ নামের একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করি। পুরস্কারস্বরূপ আমাকে হজে নিয়ে যাওয়া হয়। আর্থিক সচ্ছলতা হলে কি আমার জন্য আবার হজ করা আবশ্যক?
উত্তর : আপনি যদি হজের ইহরামের সময় নফল হজের নিয়ত না করে থাকেন, বরং সাধারণ নিয়তেই হজ করে থাকেন, তবে তা দ্বারাই আপনার ফরজ হজ আদায় হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সামর্থ্যবান হওয়ার পর আপনার জন্য পুনরায় হজ করা আবশ্যক হবে না। তবে আপনি চাইলে নফল হজ আদায় করতে পারেন। (ফতোয়ায়ে সিরাজিয়া : ৩২, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪৭৭, আল বাহরুল আমিক : ১/৩৭৬, মানাসিক মোল্লা আলী আল কারি : ৬৩)।
প্রশ্ন : হজের সফরে হারাম, সুদ, ঘুষ বা লটারির টাকা খরচ করার হুকুম কী?
উত্তর : যদি হজের টিকিট, মোয়াল্লিম ফি ও বাড়ি ভাড়ার টাকা, যেগুলো মৌলিক খরচ হিসেবে ধর্তব্য, সেসব খরচ হালাল সম্পদ দ্বারা আদায় করলে হজ আদায় হয়ে যাবে। আর অন্যান্য হারাম ও লটারির টাকা যদি হারাম হয়ে থাকে (যেমন- ১০ টাকার লটারির টিকিটে হাজার হাজার/লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া, প্রাইজ বন্ডের ড্র থেকে পুরস্কার পাওয়া অথবা এ জাতীয় অন্য কোনো হারাম লটারি), তাহলে সে টাকা খরচ করা জায়েজ হবে না। এ ধরনের টাকা গ্রহণ করা এমনিতেই হারাম। আর হজের সফরে ব্যবহার করা আরও মারাত্মক গোনাহ। (আল বাহরুর রায়েক : ২/৩০৯, রদ্দুল মুহতার : ২/৪৫৬, আল মাজমু শারহুল মুহাজ্জাব : ৭/৫১, গুনয়াতুন নাসিক : ১৯৫-১৯৬)।