ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

প্রশ্ন : কোনো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিযোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের মধ্য থেকে অগ্রগামীদের পুরস্কার দেয়া যাবে?

উত্তর : প্রতিযোগিদের থেকে টাকা নিয়ে বিজয়ীদের সে টাকায় পুরস্কার দেয়া নাজায়েজ। কেননা, এটা শরিয়ত নিষিদ্ধ ‘কিমার’ বা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর কোরআন ও হাদিসে ‘কিমার’কে হারাম বলা হয়েছে। তা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (আহকামুল কোরআন লিল জাসসাস : ২/৪৬৫, ফতোয়ায়ে খানিয়া : ৩/৪২৮, আল মুহিতুল বোরহানি : ৮/১৪, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৪০৩)।

প্রশ্ন : আমাদের এলাকার কিছু লোককে দেখেছি, তারা এলাকার নেতাদের কিছু টাকা দিয়ে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের নিষেধ করলে তারা বলে, এসব সরকারি মাল। জনগণ নিলে কোনো সমস্যা নেই। জানার বিষয় হলো, তাদের জন্য উক্ত গাছ কেটে নেয়া বৈধ হয়েছে কিনা? যদি না হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে তারা এর মূল্য আদায় করবে?

উত্তর : রাস্তার পাশে সরকারিভাবে রোপণকৃত গাছের মালিক সরকার। এলাকার নেতারা এগুলোর মালিক নয়। তাই ওদেরকে টাকা দিয়ে এসব গাছ কেটে নেয়া বৈধ হবে না। ব্যক্তিগত সম্পদ যেভাবে মালিকের অনুমতি ছাড়া ভোগ করা বৈধ নয়, তদ্রূপ সরকারি সম্পদও সরকারি কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন ছাড়া ভোগ করা নাজায়েজ। তাই এভাবে সরকারি সম্পদ নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর যে গাছগুলো কাটা হয়ে গেছে, সেগুলোর মূল্য সরকারি কোনো খাতে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ওই পরিমাণ টাকা গরিব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করে দেবে এবং এ জন্য তওবা করবে। (আল মুহিতুল বোরহানি : ৯/১৪৭, আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল কুওয়াইতিয়্যা : ৮/২৬২)।

প্রশ্ন : কেউ অন্যের গাছের ডাব, পুকুরের মাছ ইত্যাদি চুরি করে খেলে চুরির এ গোনাহ থেকে পরিত্রাণ লাভ ও পাওনাগুলোর ব্যাপারে করণীয় কী?

উত্তর : এ ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো, ওই সব ফলমূল ও মাছ ইত্যাদির আনুমানিক ন্যায্য মূল্য সেগুলোর মালিককে পৌঁছে দেয়া। মালিক জীবিত না থাকলে তার ওয়ারিশদের দিতে হবে। আর যদি মালিক বা তার ওয়ারিশ জানা না থাকে, তাহলে ওই টাকা মালিকের পক্ষ থেকে ফকির-মিসকিনকে সদকা করে দিতে হবে। আর সর্বাবস্থায় আল্লাহতায়ালার দরবারে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ২৩৫৯৪, শরহুল মাজাল্লা : ১/২৬৪, বাদায়েউস সানায়ে : ৬/৪৪, আদ্দুররুল মুখতার : ৪/২৮৩, আল ইখতিয়ার : ২/৫৬৪)।

সাবেক সহকারী মুফতি

জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা)

টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত