মুফতি মাকসূদুল হক

মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা) টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

প্রশ্ন : অনেক সময় দেখা যায়, রক্ত দেওয়ার পর রোগীর পক্ষ থেকে রক্তদাতাকে বিনিময় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রক্তদাতার জন্য কী বিনিময় গ্রহণ করা জায়েজ হবে?

উত্তর : রক্ত বিক্রি করা নাজায়েজ। তাই রক্ত দিয়ে বিনিময়ে কোনো কিছু নেওয়া জায়েজ হবে না। রক্ত দিলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই দিতে হবে। তবে যাতায়াত ভাড়া ও রক্ত পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক খরচ থাকলে তা বহন করা যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/৩৩৮, আল বাহরুর রায়েক : ৬/৭৬, খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ৩/৩৯, আহকামুল কোরআন ইবনে আরবি : ১/৩৫, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৮/৪০৫)।

প্রশ্ন : এক ব্যক্তির সন্তানরা তার দেখাশোনা করে না এবং তাকে খরচাদিও দেয় না। তাই সে চাচ্ছে, তার সম্পদ থেকে সন্তানদের বঞ্চিত করে সমুদয় সম্পত্তি স্ত্রীর নামে লিখে দিতে। এটা জায়েজ হবে কী?

উত্তর : সম্ভাব্য কোনো ওয়ারিসকে বঞ্চিত করে সমুদয় সম্পত্তি কাউকে দিয়ে দেওয়া অবৈধ। সন্তানরা বাবার খোঁজ না নেওয়া ও তাকে না মানা অন্যায়। কিন্তু এ কারণে তাদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে দেওয়া যাবে না। সন্তানদের কর্তব্য, পিতামাতার দেখাশোনা করা ও খোঁজখবর রাখা এবং তাদের অবাধ্য না হওয়া। পিতামাতার অবাধ্যতা কবিরা গোনাহ। উল্লেখ্য, মিরাস হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার মৃত্যুপরবর্তী সম্পদ বণ্টনের পদ্ধতি। বান্দার উচিত, এতে নিজ থেকে হস্তক্ষেপ না করা এবং এমন কিছু না করা, যাতে তার সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী পুরোপুরি বঞ্চিত হয়ে যায়। অবশ্য কখনও কোনো সন্তানের ফাসেকি বা অবাধ্যতা চরম পর্যায়ে চলে গেলে, সে ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভুক্তভোগী নিজে কোনো ফতোয়া বিভাগে গিয়ে অবস্থা বর্ণনা করে তাদের মাসআলা অনুযায়ী আমল করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৩১৬৮৮, খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৪০০, ফতোয়ায়ে বাজ্জাজিয়্যা : ৬/২৩৭)।