প্রশ্ন : বৃদ্ধ হওয়ার কারণে রোজা রাখতে না পারলে রমজান মাসে একজন দরিদ্র ছাত্রকে লজিং রেখে তাকে সাহরি ও ইফতার খাওয়ানো যাবে? বৃদ্ধ হওয়ার কারণে রোজা রাখতে অক্ষম হলে কী করবে? আর ওই পদ্ধতিতে খাবার খাওয়ানোর দ্বারা রোজার ফিদয়া আদায় হবে?
উত্তর : অতিশয় বৃদ্ধ হওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখতে অক্ষম হয়ে পড়লে প্রতিদিনের রোজার পরিবর্তে পূর্ণ খাবার খেতে পারে এমন একজন দরিদ্রকে দু’বেলা খাবার খাওয়াবে। আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বৃদ্ধ হওয়ার পর এক-দু’বছর রোজা রাখতে পারেননি। প্রতি রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে গোশত-রুটি খাইয়েছেন। (ফাতহুল বারি : ৮/২৮, কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদিনা : ১/২৫৪, ফতোয়ায়ে ওয়ালওয়ালিজিয়্যা : ১/২২২)। আর ছাত্র জায়গির রেখে ফিদয়া আদায়ের পদ্ধতি ঠিক আছে। (ফাতহুল কাদির : ২/২৭৭, ফতোয়ায়ে খানিয়া : ১/২০৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৮৬)।
প্রশ্ন : মাজুর ব্যক্তি রোজার আগেই পুরো ফিদয়া আদায় করতে পারবে কী?
উত্তর : হ্যাঁ, রমজানের শুরুতেই পুরো রমজানের ফিদয়া একত্রে আদায় করে দিতে পারবে। (আল বাহরুর রায়েক : ২/২৮৭, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৭, আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪২৭)।
প্রশ্ন : প্রবাসীর নাবালেগ সন্তান যারা দেশে থাকে, তাদের সদকায়ে ফিতর কোনো দেশের মূল্য অনুযায়ী আদায় করতে হবে?
উত্তর : বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী অধীনস্তদের সদকায়ে ফিতর আদায়ের ক্ষেত্রেও তাদের পক্ষ থেকে যে আদায় করবে, তার অবস্থানস্থল ধর্তব্য হবে। সুতরাং যারা প্রবাসে থাকেন, তাদের নাবালেগ সন্তান দেশে থাকলেও প্রবাসের মূল্য হিসেবে সদকায়ে ফিতর আদায় করবেন। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২০৮, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৫০, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪৬২, ফতোয়ায়ে বাজ্জাজিয়া : ৬/২৮৯)।