বিশুদ্ধ চেতনার ইশতেহার
এনায়েতুল্লাহ ফাহাদ
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুশিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সুশিক্ষিত দল-গোষ্ঠী আগামীর ভবিষ্যৎ। সুশিক্ষাই একমাত্র উন্নতির সোপান। দেশ ও জাতি সুন্দর করে গঠন করতে সুশিক্ষা-সংস্কৃতির বিকল্প নেই। সুশিক্ষা গঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠান- মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা শিক্ষার ইতিহাস প্রাচীন থেকে প্রাচীনতম। অনেক পুরোনো দিনের কথা- পৃথিবীর বয়স যতদিন, শিক্ষার বয়স ততদিন। সভ্যতার বয়স যতদিন, সংস্কৃতির বয়সও ততদিন। আল্লাহতায়ালা স্বভাবগত মানুষকে একজন জ্ঞানী খলিফা করে পাঠিয়েছেন। এরপর কোরআনুল কারিমে বলেছেন, ‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা আলাক : ১)। আদর্শ সৌন্দর্যপূর্ণ ব্যক্তি, দল, সমাজ গঠনে ইসলামি শিক্ষা তথা মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, মাদ্রাসা শিক্ষার বড় অবদান হলো, সৎ ও আদর্শ বাস্তবায়ন করা। মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত লোকেরা অনৈতিক কাজ হতে বিরত থাকে। মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরি করার পাশাপাশি মসজিদে জুমার খুতবা, ওয়াজ মাহফিল, সভা-সেমিনার ও ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সৎভাবে জীবনযাপন করার উপদেশ দেন। তাদের উপদেশ শুনে সাধারণ মানুষ সৎভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করেন। তা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মাদ্রাসাগুলো অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও অসহায় এতিম শিশুদের বিত্তবানদের সহযোগিতায় নিরক্ষরতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। অতএব, সৎ ও আদর্শ জাতি গঠনে মাদ্রাসা শিক্ষার ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কারণ, এ শিক্ষা শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিকশিত মুক্ত সচেতন মানবসত্তাকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে উন্নত যোগসূত্র রচনা করার। এ শিক্ষা চেতনাকে বিশুদ্ধ করার। এ শিক্ষার একটি চিরন্তন প্রক্রিয়া হলো- মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগগত এবং ইচ্ছাশক্তি সম্বন্ধীয় পরিবেশে। দ্বীনি শিক্ষা অর্থাৎ মাদ্রাসা শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি করা। এর মাধ্যমে সুশৃঙ্খল অনুসরণীয় একদল মানবের আবিষ্কার হবে; যারা পরস্পরে পরস্পরকে সহযোগিতা করে। যারা নৈতিক সংস্কৃতি চর্চা করবে। যারা সমাজ বিনির্মাণ করবে। এ জন্যই শিক্ষার মূল্যায়ন সম্পর্কে আল্লামা ইকবাল বলেন, ‘রুহের উন্নয়ন ঘটানোর প্রক্রিয়ার নামই শিক্ষা’।
দুই.
‘কওম’ শব্দের অর্থ- জাতি; ‘মাদ্রাসা’ শব্দের অর্থ- বিদ্যালয়। সংযুক্ত কওমি মাদ্রাসার অর্থ হলো- জাতীয় বিদ্যালয়। পরিভাষায়- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মতপথের অনুসরণে মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় ওলামায়ে কেরামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ইলমে ওহির শিক্ষাকেন্দ্র। আল্লাহতায়ালা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে শিক্ষা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নবী ও রাসুলদের আসমানি কিতাবের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। সর্বশেষে মহানবী (সা.)-এর ওপর কোরআন মাজিদ নাজিল করে শিক্ষা দিয়েছেন। এরপর প্রিয়নবী (সা.) ওহির শিক্ষা সাহাবিদের মাঝে বিতরণ শুরু করেন। নবী-রাসুলদের এ কাজ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর আয়াত বা নিদর্শন কিংবা সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের মানদণ্ড সম্পর্কে মানুষকে পড়ে শোনান। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করুন। আর শিক্ষা দিন জীবন যাপনের কৌশল। অথচ এর আগে তারা ছিল সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত।’ (সুরা জুমা : ২)। আল্লাহ প্রদত্ত রাসুল (সা.)-এর শিক্ষাব্যবস্থা ছিল অনন্য। রাসুল (সা.) শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন একটি বর্বর ও অশিক্ষিত জাতিকে। তৈরি করেছেন সুশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খলিত সর্বোত্তম সঙ্গী। কালোকে রূপান্তরিত করেছেন আলোতে। যারা হয়েছেন আল্লাহর প্রিয়। তাদের শিক্ষাকেন্দ্র বা পাঠশালা ছিল ‘সুফফা’; যা মসজিদে নববিতে অবস্থিত। আর এটিই হলো নবুয়তের পর ইসলামের প্রথম মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসায় রাসুল (সা.) ছিলেন প্রথম শিক্ষক, সাহাবিরা ছিলেন প্রথম ছাত্র। এখান থেকে উম্মতে মুহাম্মদির শিক্ষা গ্রহণ শুরু হয়। এভাবে খোলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফাদের যুগে ইসলামি শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি ঘটে। শিক্ষাব্যবস্থা একটি পরিপূর্ণতা লাভ করে। মুসলিম শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসকরা শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক অবদান রাখেন। তারা ইসলামি শিক্ষার একটি বুনিয়াদি কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায়, ব্রিটিশ শাসনের আগে শুধু বাংলাতেই ছিল ৮০ হাজার মাদ্রাসা। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ছিল ১০০০ মাদ্রাসা। আবার সিন্ধুর প্রসিদ্ধ ঠাট্টানগরীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং শিল্পকলার ছিল চারশত প্রতিষ্ঠান। এভাবে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অগণিত। কিন্তু আকস্মিকভাবে স্রোত উল্টো দিকে প্রবাহিত হলো। পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর ইসলাম ও মুসলমানদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হলো। পাক-ভারতে ইংরেজদের স্যেকুলার শিক্ষা চালু হলো। ইসলামি শিক্ষব্যবস্থা বিলুপ্ত হলো?। এভাবে বেশ কিছুদিন অতিক্রান্ত হলো। এরপর এ অসামান্য অপূর্ণতা থেকে উত্তরণে ১৮৬৬ সালের ৩০ মে মাওলানা কাসেম নানুতবি (রহ.) প্রতিষ্ঠা করেন ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ মাদ্রাসা। সেই দারুল উলুম দেওবন্দে পুনরায় যে শিক্ষার মশাল প্রজ্জ্বলিত করা হয়েছিল, তারই উত্তরসূরি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা। এ শিক্ষা মহান আল্লাহপ্রদত্ত মূলধারার শিক্ষা, স্রষ্টার আনুগত্য ও সৃষ্টির সেবায় নিবেদিত মানুষ তৈরির শিক্ষা। এ শিক্ষা একটি ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা। দুনিয়ার কল্যাণ ও আখেরাতের মুক্তি নির্দেশক শিক্ষা। এ শিক্ষার মাঝে মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হেদায়েতপ্রাপ্তি ঘটে। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষার সব উপাদান এ শিক্ষায় রয়েছে। তাই আদর্শ সমাজ গঠনে কওমি মাদ্রাসা দেশে কার্যকর ও ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিন.
ইসলাম ও মুসলমান জাতিসত্তাবিরোধী কিছু ব্যক্তি কওমি মাদ্রাসার প্রতি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের মতো জঘন্যতম অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। এ অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। কারণ, এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট, মাদ্রাসা শিক্ষা বিশেষত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা দেশের মানুষকে শান্তি-শৃঙ্খলা ও প্রগতির শিক্ষা দান করে। আসমানি এ শিক্ষা মানুষকে মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত করে। সব ধরনের সন্ত্রাস, অশান্তি, নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে মানুষকে মুক্ত করে। দেশের জনগণকে এ জঘন্য অপরাধ থেকে মুক্ত করাই আলেমদের অঙ্গীকার। সুতরাং কওমি মাদ্রাসা এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও নির্মূলে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে এ দেশের কওমি মাদ্রাসার দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। তবে অন্যায়-অসত্য, জুলুমণ্ডনির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদণ্ডপ্রতিরোধ কিংবা স্বাধিকার আন্দোলন সন্ত্রাস নয়, জানমাল, ইজ্জত, ধর্ম ও দেশ রক্ষার আন্দোলন কখনোই সন্ত্রাস হতে পারে না। যারা জিহাদকে সন্ত্রাস বলে চালিয়ে দিতে চায়, তাদের মতলব খারাপ। সন্ত্রাস কখনোই জিহাদ নয়, আর জিহাদ কখনোই সন্ত্রাস নয়। যারা সন্ত্রাস করে জিহাদ নাম ব্যবহার করে, তারা নাদান ও কুচক্রী। তাদের বিরুদ্ধে এ দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ। কওমি শিক্ষার মূখ্য উদ্দেশ্য, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। লক্ষ্য হচ্ছে, সুনাগরিক তৈরি করা, মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা, মানুষের মস্তিষ্কে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সাধন করা, মানুষকে আল্লাহর অনুগত ও রাসুল (সা.)-এর অনুসারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এতেই ক্ষ্যান্ত নয়, বরং উন্নয়ন উৎপাদনে এ শিক্ষার গৌরবজনক অংশীদারিত্ব রয়েছে। দেশের ভেতর কোনো আলেম বেকার নন। লাখো আলেম কর্মব্যস্ত কল্যাণমুখী মহৎজীবন অতিবাহিত করছেন। সবাই কোনো না কোনো মহৎ কাজে উন্নয়ন-উৎপাদনে অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশসহ প্রায় সারা দুনিয়া এমনকি সৌদি আরব পর্যন্ত বাংলাদেশের হাজার হাজার আলেম ইমাম ও মুয়াজ্জিন হিসেবে সুনামের সঙ্গে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন।
চার.
কওমি মাদ্রাসার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কওমি মাদ্রাসার বিকল্প নেই। কেননা, এখানে সর্বজনীন আদর্শ, চেতনা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে ব্যক্তি গঠন করা হয়। নৈতিকতা ও সামাজিক শিষ্টাচারের পরিশীলিত পাঠ পেয়ে সবাই সুনাগরিকে পরিণত হয়। গড়ে ওঠে সমাজের আদর্শিক নেতৃত্ব দানের যোগ্য উত্তরসূরি। এখান থেকে প্রতিদিন প্রতিক্ষণে ছড়িয়ে পড়ছে ঐশী নুরের পবিত্র ঝরনাধারা। এতে অবগাহন করে দিনরাত উপকৃত হচ্ছে সমাজের প্রতিটি মানুষ। উপকৃত হওয়ার এ ধারাবাহিকতা চলছে জীবনের প্রতিটি ধাপে। জন্মের আগ থেকে মৃত্যুর পর পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। গর্ভকালীন নানা সমস্যার শরয়ি সমাধান, জন্মের পর সুন্দর নাম রাখা, আকিকা করা ও বিয়েশাদিসহ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে করমি মাদ্রাসার আলেমের প্রয়োজন পড়ে। মুমূর্ষু ব্যক্তির জন্য দোয়া, জানাজার নামাজ, কাফন-দাফন ও ঈসালে সওয়াবের কথা আলেম ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সহিহ আকিদা, সব ধরনের ইবাদত, মোআমালাত, মোআশারাতসহ যাপিত জীবনে ঘটে যাওয়া নানা সমস্যার শরয়ি সমাধানের লক্ষ্যে মানুষ ছুটে আসে কওমি মাদ্রাসায়। এটাকে তাদের সর্বশেষ ভরসাস্থল মনে করে। আলেমদের সান্নিধ্য ও দ্বীনের সঠিক পথে চালিত হওয়ার মাধ্যমে বদলাতে থাকে সমাজের মানুষ। ভ্রাতৃত্বের ছায়ায় গড়ে ওঠে আদর্শ সমাজ। যার নেপথ্য শক্তি এ কওমি মাদ্রাসা। তাই তাদের নেতৃত্বেই ধীরে ধীরে ধর্মীয় বলয়ে গঠিত হয় আদর্শ সমাজ ও সামাজিক ব্যবস্থা। এর অন্যতম কারণ, সমাজ ও সমাজের মানুষের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সরকারি অনুদান নয়, বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় তা পরিচালিত হয়। সমাজের সবচেয়ে নিরাপদ ও আস্থার জায়গা এটি। এখান থেকে গ্রাজুয়েট করা মানুষগুলো চারিত্রিক নৈতিকতার শীর্ষে অবস্থান করেন। তাদের দু’চোখে খেলা করে আখেরাতের অনিন্দ্যময় জীবনের স্বপ্ন। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদের গা ভাসিয়ে দেন না তারা। কওমি মাদ্রাসার দেড়শ বছরের ইতিহাস সাক্ষী, এখানে পড়তে এসে কারও সঙ্গে কোনো বিবাদে জড়িয়ে কিংবা প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসার বলি হয়ে কাউকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়নি। কখনও বেজে ওঠেনি অস্ত্রের ঝনঝনানি। দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, শেয়ার কেলেংকারিসহ সব ধরনের চারিত্রিক কলংক থেকে তারা মুক্ত। এ জন্য বলা হয়, বিশুদ্ধ চেতনার ইশতেহার ‘কওমি মাদ্রাসা’। সর্বোপরি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে আমাদের আরও এগিয়ে আসা চাই। কেননা, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামি শিক্ষা ছাড়া প্রকৃত অর্থে মানুষ হওয়া কষ্টসাধ্য। এ জন্য ঈমানের পরে ইলমই হলো আল্লাহর কাছে মর্যাদা বৃদ্ধির প্রথম উপায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে ইলম বা জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদের মর্যাদা আল্লাহ বাড়িয়ে দেবেন।’ (সুরা মুজাদালা : ১১)। অতএব, সন্তানকে পরিপূর্ণ ইসলামি শিক্ষাদানের যথাযথ ব্যবস্থা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। সন্তান হবে উন্নত আদর্শে আদর্শবান ও দেশের সুনাগরিক। এ ক্ষেত্রে কোরআনি শিক্ষার বিকল্প নেই।