বেশি বেশি নফল রোজা রাখা
এ মাসে রাসুল (সা.) অত্যধিক নফল রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, এ মাসে রাসুল (সা.) এত বেশি নফল রোজা রাখতেন যে, আমরা ভাবতে শুরু করতাম, তিনি হয়তো আর রোজা রাখা ত্যাগ করবেন না। (বোখারি : ১৯৬৯, মুসলিম : ১১৫৬)। এ মাসে রোজা রাখার বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার কাছে এ মাসে বান্দার আমল পেশ করা হয়। আমি চাই, রোজা অবস্থায় আমার আমল আল্লাহতায়ালার কাছে পেশ করা হোক।’ (মুসনাদে আহমদ : ৫/২০১, সুনানে নাসায়ি : ৪/২০১)।
মধ্য শাবানের রজনীতে ইবাদত-বন্দেগি করা
এ মাসের মধ্য রজনী (১৪ তারিখের) রাতকে ‘লাইলাতুল বরাত’ বলা হয়। যা অত্যন্ত মহিমান্বিত রজনী। এ রাতে আল্লাহতায়ালা অসংখ্য মানুষকে ক্ষমা করে দেন। এ জন্য এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া-মোনাজাত করা উচিত। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেন, ‘শাবানের ১৪ তারিখের রাতে আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি সবিশেষ দৃষ্টি দেন, হিংসুক ও আত্মহত্যাকারী ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৫৬৬৫)।
রমজানপ্রাপ্তির জন্য দোয়া করা
রাসুল (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন, আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা- ফী রজাবা ওয়া শা’বা-না। ওয়া বাল্লিগনা- রমাদ্বা-না। (অর্থ : হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান আমাদের নসিব করুন)। (মুসনাদে আহমদ : ১/২৫৯, সুনানে বাইহাকি : ৩/৩৭৫)।