মুফতি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
সাবেক সহকারী মুফতি, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা), টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশ্ন : কিছু মানুষের ধারণা, মশার রক্ত লেগে থাকলে নামাজ হয় না। তাদের এ ধারণা কি সঠিক?
উত্তর : এ ধারণা সঠিক নয়। হাসান বসরি (রহ.)-সহ অসংখ্য তাবেয়ি সূত্রে বর্ণিত আছে, কাপড়ে মশা-মাছির রক্ত লাগলে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ২০১৯, ২০২০, ২০২১)। তবে নজরে পড়লে এ রক্ত ধুয়ে নেওয়া যে ভালো, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রশ্ন : নারী-পুরুষ সবার জন্যই কি সেজদার সময় চুল বেঁধে রাখা মাকরুহ?
উত্তর : নামাজে চুল বেঁধে রাখা মাকরুহ, এ বিধানটি শুধু পুরুষের জন্য। আর নারীদের চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত; যা নামাজে ঢেকে রাখা ফরজ। তাই তারা চুল বেঁধে নামাজ পড়তে পারবে। যাতে চুল ঢেকে রাখা সহজ হয় এবং এর কোনো অংশ প্রকাশ না পায়। আর তারা চুল ছেড়ে দিয়েও নামাজ পড়তে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে এমনভাবে চুল ঢেকে রাখবে, যেন ছেড়ে রাখার কারণে চুলের কোনো অংশ খুলে না যায়। (মুসনাদে আহমদ : ২৩৮৫৬, নাইলুল আওতার : ২/৩৪০, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৬৪২)।
প্রশ্ন : নামাজ অবস্থায় যদি কোনো নারীর এক-দুটি চুল বেরিয়ে থাকে, তাহলে তার নামাজ হবে?
উত্তর : নামাজে এক-দুটি চুল বেরিয়ে গেলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা, সতরের ক্ষেত্রে নারীদের মাথার সব চুল এক অঙ্গ হিসেবে গণ্য। সুতরাং মাথার সব চুলের এক-চতুর্থাংশ বা তার বেশি যদি তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম বলা পরিমাণ বেরিয়ে থাকে, তাহলে নামাজ হবে না; অন্যথায় কোনো সমস্যা নেই। তবে পুরো মাথা ঢেকে পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে নামাজ পড়তে হবে; যেন চুলের কোনো অংশ বেরিয়ে না যায়। (ফতোয়ায়ে শামি : ১/৪০৯, ফাতহুল কাদির : ১/২২৬)।