যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে করণীয়
আশিকুল্লাহ মাহমুদ
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পৃথিবীর আদি থেকে আজ পর্যন্ত যত বিজয় অর্জিত হয়েছে, তাতে যুবসমাজের ভূমিকা খুব বেশি। যুবকরা হচ্ছে জাতির প্রধান স্তম্ভ, উম্মাহর আত্মা, ভবিষ্যতের তামান্না-আকাঙ্ক্ষা। প্রতিটি জাতির উন্নয়নের পেছনে রয়েছে যুবকদের ভূমিকা। বর্তমান সময়ে যুবসমাজের যে দুরবস্থা, তা তাদের ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে, যা পুরো জাতির জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে। এভাবে চলতে থাকলে মুসলিম সমাজের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি বর্তমানে যুবসমাজের এ দুরবস্থার কারণে জাতি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা সবার সামনে স্পষ্ট। তাই যুবসমাজকে এ ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। অন্যথায় আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। যুবকদের প্রধান কাজই হচ্ছে নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা ও তা বাস্তবায়ন করা। এ জন্য আল্লাহতায়ালা জীবনের মধ্যম স্তরকে শক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ দুর্বল (শিশু) অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন, অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তি দান (যৌবন) করেন, এরপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য।’ (সুরা রুম : ৫৪)। এ জন্যই ইসলাম যুবকদের উন্নয়ন এবং কল্যাণে বিশেষ গুরুত্বের কথা বলেছে। প্রিয়নবী (সা.) যুবকদের অনেক গুরুত্ব দিতেন। কেননা, অধিকাংশ যুবকই ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে প্রথমদিকে তার পাশে থেকে তাঁকে সহযোগিতা করেছে। অনেক কষ্ট সহ্য করে ইসলাম প্রচার-প্রসার করেছে। এমনকি দ্বিধাহীনভাবে ইসলামের স্বার্থে নিজেদের প্রাণ আল্লাহর পথে উৎসর্গ করেছে। আদর্শ যুবক গঠনে মহানবী (সা.)-এর সফল ভূমিকা ও কর্মধারা যুবকল্যাণ প্রত্যাশীদের অনুসরণ করা চাই। কারণ, তিনিই একমাত্র মানব ইতিহাসে সর্বোত্তম ও অতুলনীয় যুবসমাজ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন।
বর্তমান সময়ে যুবসমাজের অবস্থা
বর্তমানে প্রায় সত্তরভাগ যুবক পর্নোগ্রাফি-সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তা ছাড়া কয়েক বছর যাবত নতুন বের হয়েছে টিকটক, ফ্রিফায়ার, পাবজি; আরও কত কী! এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে দিনদিন যুবকদের মন-মস্তিষ্ক বিগড়ে যাচ্ছে। আর কিছু নাস্তিক সাহিত্যের নামে নষ্টামি বিভিন্ন উপন্যাস লিখেছে; যার মধ্যে বেশিরভাগই পরকীয়া এবং অবৈধ নারীপ্রেমের কাহিনি। যুবকরা এগুলো অনায়েসে পাঠ করছে। এভাবে ধীরে ধীরে যুবকদের চিন্তা-চেতনায় বিষ ঢেলে দেয়া হচ্ছে। যার কারণে ধীরে ধীরে তারা পিতামাতা, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও অসদাচরণ করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এসব পর্নোগ্রাফি-সিনেমা দেখতে দেখতে তাদের চিন্তা-চেতনা গান্ধা হয়ে গেছে। যার কারণে পিতামাতার থেকেও তাদের নেকনজর উঠে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ের যুবক-যুবতীরা ভালোবাসার নামে পার্কে ফ্রি মেলামেশা করে। পর্যটন স্পটগুলোতেও আড্ডার আসর বসায়। এভাবে গল্পগুজব করতে করতে একপর্যায়ে অশ্লীল বেহায়পনা ও ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব আমাদের সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বর্তমানে বহুল পরিচিত একটি শব্দ ‘লিভ টুগেদার’। দু’জন অবিবাহিত নারী-পুুরুষ স্বামী-স্ত্রী না হয়ে একসঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে থাকাটাই লিভ টুগেদার। ভাবা যায়, বেহায়াপনা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে! এটা একই সঙ্গে অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ; যা আজ মুসলিম সমাজেও ঢুকে গেছে! ইসলাম এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে বহুসংখ্যক ছেলেমেয়ে এ ধরনের অবৈধ সম্পর্কে জড়াচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ যুবক-যুবতীরা প্রতিযোগিতা করে লিভটুগেদারে জড়াচ্ছে। এতে করে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান সময়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের লিভটুগেদার। বিভিন্ন পার্ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী হচ্ছে, খবরের কাগজ পড়লে কিছুটা অনুধাবন করা যায়। অথচ মহানবী (সা.) বলেন, আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম; যার ওপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত। সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল। ভেতরে কিছু নারী-পুরুষ চিৎকার করতে লাগল। আগুনের শিখা ওপরে এলে তারাও ওপরে আসছে। আগুনের শিখা স্তমিত হলে তারাও নিচে চলে যাচ্ছে। সর্বদা তাদের এ অবস্থা দেখে আমি জিবরাইল (আ.)-কে বললাম, ‘এরা কারা?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর নবী! এরা হলো অবৈধ যৌনাচারকারীর দল।’ (বোখারি)।
যুবসমাজের অবক্ষয়ের মৌলিক কিছু কারণ
১. পঞ্চইন্দ্রিয়ের হেফাজত না করা : পঞ্চইন্দ্রিয়ের হেফাজত করা একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি। পঞ্চইন্দ্রিয়ের হেফাজত না করতে পারলে ইসলামের মাকাসেদ তথা মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আর ইসলামের মাকাসেদকে সংরক্ষণ করার জন্য পরিপূর্ণ চেষ্টা করা একজন মোমিনের জন্য আবশ্যক। কেননা, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মাঝখানে জিহ্বা এবং দুই উরুর মাঝের লজ্জাস্থানের হেফাজতের দ্বায়িত্ব নিল, আমি তাকে জান্নাতে পৌঁছানোর দায়িত্ব নিলাম।’ (মুসলিম)।
২. ইন্টারনেটের আপত্তিকর সাইটগুলোর অপব্যবহার : বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পুরো বিশ্ব যেমন এখন হাতের নাগালে, যখন যেটা মনে চায় সেটাই খুব সহজে করে নিতে সক্ষম হই এর মাধ্যমে, ঠিক তেমনি এর সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে এর খারাপ দিকও রয়েছে; যা বলাবাহুল্য। এ খারাপ দিকসমূহ ব্যবহার করে বর্তমানে যুবসমাজ একেবারেই ধ্বংসের মুখে। যার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইন্টারনেটের অপব্যবহার। এর পাশাপাশি অভিভাবকদের অসতর্কতারও প্রভাব রয়েছে। যে কারণে সহজেই তাদের চিন্তা-ভাবনায় স্থান করে নেয় নগ্ন ও অশ্লীল আপত্তিকর সাইটগুলো। এর দ্বারাই সূচনা হয় অবৈধ কাজের। এভাবে চলতে চলতে একসময় তাদের জীবনে চলে অমাবস্যা রাতের মতো অন্ধকার। তখন অন্য কোনো পথ না পেয়ে বেছে নেয় আত্মহত্যা নামক ভয়াবহ পাপের বোঝা।
৩. ইসলামি রীতিনীতি তথা বেপর্দায় চলাফেরা : এভাবে চলাফেরা করে সমাজকে নোংরা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে নবী! আপনি মোমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের মাথার কাপড় দ্বারা বক্ষদেশ আবৃত রাখে।’ (সুরা নুর : ৩২)। হাদিস শরিফেও পর্দার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু। যখন সে পর্দাহীন হয়ে বেরোয়, তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়।’ (তিরমিজি)। মূলত পর্দাহীন নারীরা হচ্ছে জগতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট নারী। তাদের ব্যাপারে বিশ্বনবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট তারাই, যারা পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করে।’ (সুনানে বাইহাকি)।
৪. বেকারত্ব যুবক-যুবতীর নষ্টের প্রধান কারণ : বহু টাকাণ্ডপয়সা খরচ করে শিক্ষিত হয়ে কোনো মানসম্মত কাজ না পেয়ে খারাপ কাজ বা সমাজে ফেতনা ছাড়া আর কি করার থাকে? তবে এতে বাবা-মায়েরও কিছু গাফিলতি থাকে। তা হলো, বাবা-মা এত কষ্ট করে পড়াশোনা করানোর পর যখন ভালো কোনো কর্মস্থলের ব্যবস্থা না হয়, তখন তারাও তাকে পরিবারের বোঝা মনে করে। তখন সে যুবক কোনো পথ না পেয়ে খারাপ বা ফেতনার পথকেই বেছে নিতে বাধ্য হয়। মা-বাবা এতদিন কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছে ঠিকই; কিন্তু এ সামান্য কিছু সময় ধৈর্যধারণ না করতে পারায় হাজারো যুবক তার সাজানো রঙিন স্বপ্নকে মাটির সঙ্গে ধ্বসিয়ে দিতে বাধ্য হয়। তাই অভিভাবকদের উচিত, সরকারি চাকরির আশায় বসে না থেকে তাদের সন্তানকে কোনো কাজে নিয়োজিত রাখা। যেমন- হতে পারে ব্যবসা, কৃষিকাজ, সরকারি চাকরি না পাওয়ায় বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগদানসহ বিভিন্ন কাজ।
৫. সুশিক্ষার অভাবে জর্জরিত যুবসমাজ : আজকাল শিক্ষিত যুবক আছে বটে, মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত না হতে পেরে যুবকরা জড়িত হচ্ছে নানা অপরাধে। যদিও দুনিয়াবি কিছু শিক্ষার্জন করে থাকে; কিন্তু ইসলামি শিক্ষায় নিজেকে সুশিক্ষিত করতে না পেরে সঠিক পথ খুঁজে না পাওয়ায় কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ, কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম বুঝতে পারে না। ফলে দিনদিন ধ্বংসের দিকেই ঢলে পড়ছে যুবসমাজ। তাই আমাদের উচিত, জাগতিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায়ও তাদের প্রাজ্ঞ করে তোলা।
৬. মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন : এসব সেবন করে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আজকের যুবসমাজ। বর্তমানে অনেক যুবক আছে, যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ার কারণে পড়াশোনা করতে পারে না। কিছু যুবক আছে, যারা ভালোভাবে পড়াশোনা না করার কারণে বা ভালো পড়াশোনা করেও আশানুযায়ী কর্মস্থল না পেয়ে দুশ্চিন্তা আর হতাশায় ভুগতে ভুগতে একসময় মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের সঙ্গে জড়িয়ে পরে। পরবর্তী সময়ে কোনোভাবেই সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না তাদের। যুবসমাজকে রক্ষা করা আমাদের ওপর অত্যাবশ্যক। অন্যথায় একদিন আমাদের এ পাপে পাপী হয়ে আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেননা, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘জলে-স্থলে যেসব বিপর্যয় বা গজব আসে, তা সবই মানুষের নিজ হাতের কামাই।’ (সুরা রুম : ৪১)।
নৈতিক অবক্ষয় রোধে করণীয়
আজকের যুবসমাজে পচন ধরেছে। ধীরে ধীরে যুবসমাজকে অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ, আমরা জাগতিক শিক্ষায় গুরুত্ব দিই ঠিকই, কিন্তু ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে অনেকটা দূরে রাখছি তাদের। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় সঠিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা আর মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় সমাজের পরতে পরতে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ধোঁকাবাজি থেকে বিরত থাকার। তাই জাগতিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া একান্ত আবশ্যক।
যুবকদের প্রতি নবীজির বিশেষ নির্দেশনা
প্রিয়নবী (সা.) যুবকদের স্নেহ করতেন। তাদের খুব ভালোবাসতেন। সৎকাজের অনুপ্রেরণা দিতেন। অসৎকাজ থেকে বিরত রাখতেন। কারণ, তাদের দ্বারাই জাতির যেমন কল্যাণ হয়, তেমনি অকল্যাণও হয়। সন্তানের ব্যাপারে পিতার করণীয় সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পিতার ওপর সন্তানের তিনটি অধিকার রয়েছে- সুন্দর নামকরণ, ইলম শিক্ষাদান, প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ে করিয়ে দেয়া।’ (সুনানে দারাকুতনি)। সদ্যপ্রসূত শিশুর ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়া বৈধ। যাতে শিশুর কানে সর্বপ্রথম আল্লাহু আকবার বাক্যটি শ্রুত হয়। পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব তার জীবনে দৃশ্যমান হবে। আজ যুবকদের বিয়ের ক্ষেত্রে বিলম্ব করা হচ্ছে। এ বলে যে, তার বিয়ের বয়স হয়নি বা ভালো কোনো কর্ম নেই। বিয়ে করে কী খাওয়াবে, কী পরাবে! কিন্তু কিছুদিন পরেই এ যুবকগুলোই জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হচ্ছে। এরাই নেশাগ্রস্ত হচ্ছে। তখন এর জন্য দায়ী কে! যেসব অভিভাবক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বিয়ের ব্যবস্থা করছে না, তাদের সতর্ক করে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বিয়ে দেয়া না হলে সে যদি কোনো পাপ করে, তার গোনাহ পিতাকে বহন করতে হবে।’ (সুনানে বাইহাকি)। রাসুল (সা.) যুবকদের সামাজিক আচরণ শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। আনাস (রা.)-কে একদিন তিনি ঘরে প্রবেশের আদব শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রিয় বৎস! ঘরে প্রবেশকালে সালাম করবে। এতে গৃহবাসী ও তুমি বরকত লাভ করবে।’ (তিরমিজি)। এভাবেই রাসুল (সা.) তরুণদের শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব গঠনের কাজ করেছেন। যাতে তারা রেসালত গ্রহণ, দায়িত্ব পালন এবং ইলামের মৌলিক বিধানের সঙ্গে নিজেদের সর্বদা জড়িয়ে রাখতে সক্ষম হয়।