ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসলামে শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা

ইলিয়াস মশহুদ
ইসলামে শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা

ইসলাম মানবজীবনের জন্য রহমত। জাহেলি যুগে আরবে যখন দাস-দাসী ও গরিব শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হতো, তখনই রাসুল (সা.) নিয়ে এসেছিলেন মানবতার বার্তা। একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে ইসলামের। এরপর শ্রমিক ও মালিকের সৌহার্দ্যমূলক পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এমন এক বিধানের প্রচলন করেছে ইসলাম, যেখানে দুর্বল শ্রেণিকে শোষণ-নিপীড়নে পিষ্ট করার জঘন্য প্রবণতা নেই। কেননা, ইসলাম হচ্ছে সাম্য ও মানবতার ধর্ম। ইসলামই সমাজে এ কথা বাস্তবায়ন করেছে যে, আল্লাহর বান্দা হিসেবে সবাই সমান। এতে কোনো ভেদাভেদ নেই। এ জন্য বিদায় হজের ভাষণে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘অনারবের ওপর আরবের আর আরবের ওপর অনারবের এবং শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের ও কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব শুধু আল্লাহভীতি ও ধর্ম পালনের দিক দিয়েই বিবেচিত হতে পারে।’ (মুসনাদে আহমদ : ২২৯৭৮)।

শ্রমিকের প্রতি মমতা

ইসলাম মালিক ও শ্রমিকের জন্য অভিন্ন অন্ন-বস্ত্রের নির্দেশ দিয়েছে। যাতে শ্রমিকের মানসম্মত জীবন-জীবিকা নিশ্চিত হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীন করেছেন। সুতরাং যার ভাইকে তার অধীন করেছেন, সে যেন তাকে তা-ই খাওয়ায়, যা সে খায়। সেই কাপড় পরিধান করায়, যা সে নিজে পরিধান করে। তাকে সামর্থ্যরে অধিক কোনো কাজের দায়িত্ব দেবে না। যদি এমনটা করতেই হয়, তাহলে সে যেন তাকে সাহায্য করে।’ (বোখারি : ৫৬১৭)। এ হাদিসে শ্রমিক ও মালিক পরস্পরকে ভাই সম্বোধন করে মূলত ইসলাম শ্রেণিবৈষম্যের বিলোপ করেছে। তবে শ্রেণিবৈষম্য বিলোপের নামে মালিক ও উদ্যোক্তার মেধা, শ্রম ও সামাজিক মর্যাদাকে অস্বীকার করেনি ইসলাম। চাপিয়ে দেয়নি নিপীড়নমূলক কোনো ব্যবস্থা। বরং তার ভেতর মানবিক মূল্যবোধ ও শ্রমিকের প্রতি মমতা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে।

শ্রম ও শ্রমিক

শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকের সম্পর্ক, আচার-ব্যবহার কি রকম হবে, সে সম্পর্কে ইসলামের সুন্দর নীতিমালা রয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে মালিক-শ্রমিক ভাই ভাই। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততাপূর্ণ। শ্রমিক ছাড়া মালিক যেমন অচল, তেমনি সবাই মালিক হয়ে গেলে তখন শ্রমিক বলতে কেউ থাকবে না। তা ছাড়া এটা মানুষের বিশেষত্ব যে, কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তাই মানুষ বলতেই সবাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আল্লাহ এভাবেই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এ জন্য কেউ চাইলেও কারও সহযোগিতা ছাড়া জীবন চালাতে পারবে না; কারও না কারও সাহায্য তাকে নিতেই হবে। এখান থেকেই শ্রম ও শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এ কারণেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে চলতে বাধ্য। কেননা, মানুষ সামাজিক জীব। সমাজজীবনের বাস্তবতায় নিজেও যেমন কারও অধীনতা গ্রহণ বা অন্যের সাহায্য নিতে হবে, তেমনি আপনার অধীনেও অনেকে থাকবে এবং অনেককে সাহায্য করতে হবে। হয় আপনাকে হতে হবে শ্রম গ্রহীতা অথবা শ্রমিক। সামাজিকভাবে এভাবে চলতে গিয়ে যারা কায়িক শ্রম বিনিয়োগ করে, দিন শেষে তারা হয় মজুর বা শ্রমিক। আর দুনিয়ার সাধারণ রীতি অনুযায়ী শ্রম গ্রহীতার চেয়ে শ্রম বিনিয়োগকারীরাই সর্বদা বঞ্চনার স্বীকার হয়ে থাকেন। তাদের ঘামঝরানো শ্রমে মালিক-পুঁজিপতিরা টাকার পাহাড় গড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই তারা নানাভাবে নিগৃহীত হন। যদিও হাজার বছর আগে ইসলাম শ্রম গ্রহীতা ও শ্রমিক উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু ইসলামের সেই অধিকার আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করি?

শ্রমের মর্যাদা

ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল কাজে ও হালাল পথে শ্রম বিনিয়োগ মোটেই লজ্জার ব্যাপার নয়; বরং এ হচ্ছে নবী-রাসুলদের সুন্নত। প্রত্যেক নবী-রাসুলই কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এমনকি উপার্জনের প্রতি স্বয়ং আল্লাহ উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ‘সালাত শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর।’ (সুরা জুমা : ১০)। মিকদাদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেন, ‘এর চেয়ে উত্তম খাদ্য আর নেই, যা মানুষ নিজ হাতে উপার্জনের মাধ্যমে ক্রয় করে। নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।’ (বোখারি : ২০২৭)। শ্রমের অনেক ধরন রয়েছে; যদিও মানুষের প্রয়োজনীয় কোনো কাজই তুচ্ছ নয়। মুচি জুতা সেলাই করেন, দর্জি কাপড় সেলাই করেন, নাপিত চুল কাটেন, জেলে মাছ ধরেন, ধোপা কাপড় পরিষ্কার করেন, ফেরিওয়ালা জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাঁতি কাপড় বোনেন, কুমার পাতিল বানান, নৌকার মাঝি মানুষ পারাপার করেন। এসব কাজ এতই জরুরি যে, কাউকে না কাউকে অবশ্যই কাজগুলো করতে হবে। এখন এসব কাজে যদি কেউই এগিয়ে না আসতেন, তাহলে মানবজীবন অচল হয়ে পড়ত। এ জন্য শরিয়ত সমর্থিত কোনো কাজই নগণ্য নয় এবং যারা এসব কাজ করেন, তারাও হীন বা ঘৃণ্য নন।

শ্রমিকের গুণাবলি

ইসলাম মালিকদের ওপর অনেক দায়িত্ব যেমন অর্পণ করেছে, তদ্রƒপ শ্রমিকের ওপরও আবশ্যক কিছু নিয়মনীতি আরোপ করেছে। যেমন- আমানতদারিতা, সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতা, নিজের কাজ হিসেবে করা ইত্যাদি। আর একজন শ্রমিক বা কর্মচারী যখন ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে তার পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে, তখন তা হালাল বা বৈধ উপার্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত এক হাদিসে রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। আর তোমাদের প্রত্যেককে সে দায়িত্ব সম্পর্কে জবাব দিতে হবে।’ (বোখারি : ৭১৩৮)।

শ্রমিকের অধিকার

একজন শ্রমিকের সবচেয়ে বড় অধিকার হলো, উপযুক্ত পারিশ্রমিক। ইসলাম দ্রুততম সময়ে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা শ্রমিককে তার শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ : ২৯৮৭)। শ্রমিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকেরই। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মালিকানাধীন (অধীন) ব্যক্তির জন্য খাবার ও কাপড়ের অধিকার রয়েছে।’ (মুসলিম : ১৬৬২)। অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে আমাদের কর্মী নিযুক্ত হয়েছে, সে যেন (প্রতিষ্ঠানের খরচে) একজন স্ত্রী সংগ্রহ করে, সেবক না থাকলে সে যেন একজন সেবক সংগ্রহ করে এবং বাসস্থান না থাকলে সে যেন একটি বাসস্থান সংগ্রহ করে। যে ব্যক্তি এর অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করবে, সে প্রতারক বা চোর গণ্য হবে।’ (সুনানে আবি দাউদ : ২৯৪৫)।

শ্রমিকের পারিতোষিক

শ্রমের সঙ্গে পারিশ্রমিকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একজন শ্রমিক টাকার প্রয়োজনেই অন্যের কাজ করেন। তিনি তার শ্রম দিচ্ছেন নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য। তাই কাউকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের আগে তার কর্মদক্ষতা যাচাই করতে হবে। এরপর উপযুক্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা শ্রম গ্রহীতার ওপর নৈতিক দায়িত্ব। এ জন্য কোনো শ্রমিককে কেউ বিনা পারিশ্রমিকে খাটাতে পারেন না। শ্রমিকের কাজের উপযুক্ত মজুরি দেয়া এবং কোনো রকম জুলুমণ্ডশোষণ করা উচিত নয়। এ ব্যাপারে শ্রম গ্রহীতাদের নজর রাখতে হবে।

শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় কর্তব্য

শ্রমিকের অধিকারগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হলো পারিশ্রমিক। পারিশ্রমিক প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রম গ্রহীতাকে দু’টি বিষয়ে যত্নবান হতে হবে- এক. সময়মতো পারিশ্রমিক প্রদান করা। যেসব শ্রমিকের বেতন মাস হিসেবে নির্দিষ্ট করা, তাদের মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেতন দিয়ে দিতে হবে। আর যেসব শ্রমিক দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন, তাদের দিন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মজুরি দিয়ে দিতে হবে। দুই. চুক্তিমতো পারিশ্রমিক প্রদান। পূর্বনির্ধারিত পারিশ্রমিকের চেয়ে কম দেবে না। বড় বড় অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দেখা যায়, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ওপর জুলুম করেন। ইসলাম এটা সমর্থন করে না। এ ছাড়া শ্রমিককে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ দেয়া যাবে না। যদি দিতেই হয়, তবে মালিক নিজে তার কাজে সহযোগিতা করবে। হাদিসে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে।

ভুলত্রুটির জন্য মালিকের পক্ষ থেকে ক্ষমা পাওয়াও শ্রমিকের অধিকার। এক ব্যক্তি এসে রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, কর্মচারীকে কতবার ক্ষমা করব? রাসুল (সা.) কোনো উত্তর না দিয়ে নীরব থাকলেন। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলে নবীজি (সা.) এবারও কোনো উত্তর দিলেন না। তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করার পর উত্তরে বললেন, ‘প্রতিদিন ৭০ বার ক্ষমা করবে।’ (সুনানে আবি দাউদ : ৫১৬৬)।

রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালের আগমুহূর্তে যখন তার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল, স্বর একেবারেই ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল, তখন উম্মতের উদ্দেশে সর্বশেষ অসিয়ত করেছেন এ বলে, ‘তোমরা অধীনস্থদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।’ (সুনানে আবি দাউদ : ৫১৫৮)।

শ্রমিকের বিপদে পাশে থাকা

ইসলাম সাধারণভাবেই দুর্দিনে অভাবগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আর অসহায় ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি যদি হয় কারও সেবাদানকারী শ্রমিক, তবে এ দায়িত্ব বহুগুণে বেড়ে যায়। কেননা, রাসুল (সা.) মালিকপক্ষকে শ্রমিকের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের দাসরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীন করেছেন। কাজেই কারও ভাই যদি তার অধীনে থাকে, তবে সে যা খায়, তা থেকে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা থেকে যেন পরিধান করায়।’ (বোখারি : ২৫৪৫)।

দুর্যোগে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব

শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্য অধিকার প্রদানে ইসলাম কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ও দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছে। প্রধানত এ দায়িত্ব নিয়োগদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের; এরপর রাষ্ট্র ও সমাজের। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন উপেক্ষা করে শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতা নিয়েও করা হচ্ছে টালবাহানা। এমনটা করা মোটেও ঠিক নয়।

সময়মতো বেতনভাতা পরিশোধ করুন

বেতন ও পারিশ্রমিক কর্মজীবীর অধিকার। ইসলাম দ্রুততম সময়ে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪৪৩০)। ঠুনকো অজুহাতে বেতন-ভাতা ও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আরও ভয়ংকর অপরাধ। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যে জাতির দুর্বল লোকেরা জোর-জবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না, সে জাতি কখনও পবিত্র হতে পারে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪২৬)।

শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ না করার শাস্তি

অনেক সময় শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মালিকরা উপযুক্ত মজুরি প্রদান না করে ইচ্ছামতো মজুরি দেন এবং শ্রমিকদের বঞ্চিত করেন ও ঠকান; আর শ্রমিকরা নীরবে তা সহ্য করে থাকেন। এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ যদি শ্রমিকের মজুরি না দেন অথবা দিতে গড়িমসি করেন, তার বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিপক্ষে থাকব। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে কাউকে শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার পর তার থেকে কাজ বুঝে নিয়েছে, অথচ তার প্রাপ্য দেয়নি।’ (বোখারি : ২২২৭)।

প্রচলিত সমাজে শ্রমিকের অবস্থান

মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা নিরূপিত হয় নৈতিকতা, নিষ্ঠা ও তাকওয়ার ভিত্তিতে। কাজেই যে কোনো পেশার লোক সম্মানের পাত্র। কেননা, সমাজ জীবনে আমরা বিভিন্ন পেশার লোকের মুখাপেক্ষী হই। কাজেই কোনো শ্রেণিবৈষম্যে না গিয়ে প্রত্যেক পেশাজীবীর অধিকারের প্রতি আমাদের সমান যত্নবান হওয়া এবং সমান সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। এ ছাড়া ইসলাম যে শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা গেলে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা অবশ্যই সুরক্ষিত হবে। দূর হবে মালিক-শ্রমিক বিরোধ আর প্রতিষ্ঠিত হবে শ্রমের আসল মর্যাদা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত