প্রশ্ন : এহরাম অবস্থায় মোজা পরা যাবে?
উত্তর : এহরাম অবস্থায় মোজা পরা নিষেধ। ওজর ছাড়া এহরাম অবস্থায় কেউ পূর্ণ একদিন মোজা পরে থাকলে তার দম দেয়া ওয়াজিব। (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৫৭৬)।
প্রশ্ন : এহরাম অবস্থায় চুল কিংবা দাড়ি মু-ালে বা ছাঁটলে কোনো অসুবিধা হবে?
উত্তর : এহরাম থেকে হালাল হওয়ার আগেই কোনো ব্যক্তি মাথা কিংবা দাড়ির এক-চতুর্থাংশ চুল মু-ালে বা ছাঁটলে তার ওপর দম (একটি পূর্ণ বকরি বা ভেড়া বা দুম্বা, কিংবা গরু, মহিষ ও উটের এক সপ্তমাংশ) ওয়াজিব হবে। আর মোচ কাটলে কিংবা ছাঁটলে তার জন্য সদকা (একটা ফেতরা পরিমাণ) করা ওয়াজিব। (আল বাহরুর রায়েক : ৩/১৫)।
প্রশ্ন : এহরাম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা কিংবা উত্তেজনার সঙ্গে স্পর্শ করা যাবে?
উত্তর : এহরাম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা কিংবা উত্তেজনার সঙ্গে স্পর্শ করার দ্বারা বীর্যপাত হোক বা না হোক দম ওয়াজিব হবে। তবে এতে হজ ফাসেদ হবে না। (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৫৮২)।
প্রশ্ন : তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার সময় মোবাইলে কথাবার্তা বলা যাবে?
উত্তর : মোবাইলে কথা বলার দ্বারা তাওয়াফ কিংবা সাঈতে কোনো অসুবিধা হয় না। তবে প্রয়োজন ছাড়া কোনো ধরনের কথাবার্তা না বলা ভালো। এ সময় জিকির-আজকারে মগ্ন থাকা উচিত। (ফাতহুল কাদির : ২/৪৯৫)।
প্রশ্ন : বোবা ব্যক্তি তালবিয়া কীভাবে পড়বে?
উত্তর : বোবা ব্যক্তির জন্য তালবিয়ার সময় মুখ নাড়ানো জরুরি নয়; বরং মুস্তাহাব। (রদ্দুল মুহতার : ৩/৪৯০)।