মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বনবী। মানুষের কল্যাণে ধারার বুকে তার আগমন। সামাজিক সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে শান্তিময় পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় রয়েছে তার অনন্য অবদান। পৃথিবীতে সংস্কারক হিসেবে যারা আবির্ভূত হয়েছেন তিনি তাদের অন্যতম। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদিত ও স্বীকৃত। বিশ্বের বহু খ্যাতিমান পুরুষ মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, শুধু মুহাম্মদই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক।
পৃথিবীতে তাঁর অবদানের কোনো বিকল্প নেই। হতে পারে না। তিনি পৃথিবীতে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন, বিশ্বমানবের জন্য ছিল তার কল্যাণকর দিকনির্দেশনা। অনন্ত শান্তির আহ্বান। ইসলাম চিরন্তন শান্তির ধর্ম এবং পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই পারে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণ-অনুকরণের মধ্যদিয়ে মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তরে শান্তি আনয়ন সম্ভব। ইসলামের অমীয় মর্মবাণী এবং আদব-কায়দা, সৎগুণ প্রভৃতি সমাজ তথা রাষ্ট্রকে শান্তিময় করে গড়ে তোলে। একটি আর্দশ সমাজ গঠন করতে সর্বাগ্রে সমাজের মানুষ আর্দশবান হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা কোনো কালেই সম্ভব নয়।
সমাজ গঠনে মহানবী
বিশ্ব মানবতার মহাপুরুষ প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন যখন তার নিজ জন্মভূমিতে বিপন্ন হওয়ার পথে, তখন তিনি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার নির্দেশে মদিনায় হিজরত করেন এবং সেখানে গিয়ে তিনি একটি সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
সৃষ্টিকর্তার বাতলানো পথে তিনি বাস্তবে আদর্শ সমাজ গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। মদিনাকে তিনি বিশ্বদরবারে একটি মডেল সমাজে পরিণত করেছিলেন। মদিনাবাসীও বিশ্বমানবতার কাণ্ডারি মহানবী (সা.)-কে পেয়ে যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন এবং মদিনার ছোট, বড় সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া হিজরত করার আগেও তিনি মক্কাকে একটি শান্তির নগরীতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মক্কার বিভিন্ন গোত্রের ঝগড়া-বিবাদ ও সমস্যা সমাধানে বিরল নজির স্থাপন করেছেন।
আরব সমাজের বিভিন্ন অনাচার, কুসংস্কার দূর করতে চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি তার সৎ গুণাবলি বিশেষত সততা ও বিশ্বস্ততার গুণে আরব সমাজের মানুষকে মুগ্ধ করে আল-আমিন উপাধি অর্জন করেছেন। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তার কর্মগুণে আরববাসীর অন্তর জয় করেছিলেন এবং সবার কাছে বিশ্বাসভাজন হয়েছিলেন। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর গুণাবলি বলে শেষ করা যাবে না। তিনি শুধু নিজ সমাজ নয়, বরং পুরো পৃথিবীকে সুন্দররূপে গড়ে তুলতে আজীবন প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর ৬৩ বছর জীবনে তিনি যারপরনাই চেষ্টার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্বমানবতার কাণ্ডারি মহানবী (সা.) ছিলেন, বিশ্বের একজন অন্যতম সমাজ সংস্কারক, সমর বিজ্ঞানী, দার্শনিক, রাষ্ট্রনায়ক এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল মহাপুরুষ। একজন সচেতন সিরাত পাঠকের কাছে এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সমাজ সংস্কারক। তাঁর সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কোনো মানুষের তুলনা হয় না। তুলনা করা ঠিকও নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রথম সামাজিক ও আন্তর্জাতিক বিপ্লবের অগ্রসৈনিক হিসেবে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এক অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নাম ইতিহাসে চির উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দেদীপ্যমান।
প্রাক-ইসলামে আরব সমাজ
মুহাম্মদ (সা.) এ পৃথিবীতে আসার আগে আরব দেশ অন্যায়, অনাচার, অত্যাচার, কুসংস্কার ও বর্বরতায় আচ্ছন্ন ছিল। সামাজিক বৈষম্য, অসাম্যতা, অনাচার, ব্যভিচার, খুন-রাহাজানি, ছিনতাই, উৎপীড়ন, রক্তপাতসহ জঘন্য অপরাধ আরব জাতির রক্ত-মাংসে মিশে গিয়েছিল। অন্যায় যেন তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছিল ওই সময়। আরববাসীর কঠিন ও চরম বিপর্যয়ের সময় তিনিই এক আলোকবর্তিকা হয়ে তাদের ভাগ্য দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। আরব সমাজকে পাপমুক্ত করে শান্তিময় সমাজে পরিণত করতে মুহাম্মদ (সা.) অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। সমাজ সংস্কারের ইতিহাসে দুনিয়ার অন্য কোনো নবী-রাসুলকে মহানবী (সা.)-এর মতো এত বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, বিশ্ব মাঝে সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি যে বিপ্লব এনেছিলেন, তা পৃথিবীর সর্বমহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। মহানবী (সা.)-এর বিরামহীন প্রচেষ্টার ফলেই আরবদের চিরাচরিত গোত্রভিত্তিক অহেতুক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটেছিল।
তাওহিদি আদর্শে সামাজিক বিপ্লব
মহানবী (সা.) সমগ্র আরববাসীকে একই রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধতার সারিতে দাঁড় করিয়ে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং তিনিই মদিনায় ইসলামি খেলাফতের ভিত্তি স্থাপন করেন। তার শাসনব্যবস্থায় আল্লাহর একত্মবাদ ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্বে তিনিই একমাত্র ঐশ্বরিক বিধানসম্মত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার গৌরবে গৌরবান্বিত হয়েছেন। তিনি সহজ-সরল সামাজিক ও নৈতিক আইন-কানুন প্রতিষ্ঠা করে দেশ ও সমাজে চিরশান্তির বীজ বপন করতে সক্ষম হন। ধর্মীয় জীবনে আরবরা ছিল অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। মূর্তি পূজাসহ যতসব কাল্পনিক পূজা ও নানান কুসংস্কার যখন আরবের ধর্মীয় জীবনকে কলুষিত করেছিল, ঠিক সে সময় মুহাম্মদ (সা.) তাওহিদের বাণী নিয়ে আবির্ভূত হন। তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘আল্লাহ এক, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তাঁর প্রেরিত রাসুল। তাঁর একত্ববাদের বাণী আরবদের যুগ যুগ লালিত পৌত্তলিকতার মূলে কুঠারাঘাত করেছিল। ফলে আরবরা নিকৃষ্ট পার্থিব পূজা ত্যাগ করে একেশ্বরবাদের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিল।
নৈতিকতা বিকশিত সমাজ
মাত্র ২৩ বছরের নবুয়তের জীবনে মানবতার কাণ্ডারি মহানবী (সা.) ধর্মজ্ঞানবর্জিত আরব জাতিকে একটি ধর্মাশ্রিত জাতিতে পরিণত করেন। মানবজাতিকে ধর্মীয় চেতনায় উজ্জীবিত করে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ-প্রদর্শক হিসেবে মহান আল্লাহর কোরআনের বাণীকে তিনি সার্থকভাবে প্রতিফলিত করে গিয়েছেন। মুহাম্মদ (সা.) সমাজ থেকে শ্রেণি ও বংশগত বৈষম্যের চির অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘সকল মানুষ সমান, মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি যিনি আল্লাহর প্রতি অনুগত এবং মানুষের সর্বাধিক কল্যাণকারী।’ তাঁর শিক্ষা-আদর্শে ও প্রভাবে অল্প দিনের মধ্যে সমগ্র আরব জাহানে অসাম্য দূর হয়ে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি দুনিয়ার বুকে বিশ্বমানবতার এমন এক বিরল ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করলেন, যেখানে উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, কালো-সাদার মধ্যে কোনো পার্থক্য রইল না।
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা
তিনি মায়ের জাত নারীকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা তাঁর একটি যুগান্তকারী বিষয়। ইসলামের আর্বিভাবের আগে নারী জাতি ছিল শুধু অবহেলার পাত্র ও ভোগের সামগ্রী। ইসলাম নারীকে দিয়েছে এক অভূতপূর্ব সম্মান-সুউচ্চ মর্যাদা। নারীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানে মুহাম্মদ (সা.) সুনির্দিষ্ট বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের নারীর ওপর যেমন অধিকার রয়েছে, নারীরও তোমাদের ওপর সে রকম অধিকার রয়েছে। (সুরা বাকারা : ২২৮)। অন্য এক আয়াতে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘হে মানব সম্প্রদায় আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে।’ (সুরা হুজুরাত : ১৩)। ইসলামি আইনের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষকে সমমর্যাদা দেয়া হয়েছে। সম্পত্তির উত্তরাধিকার আইনের ক্ষেত্রে ইসলাম নারীকে ন্যায্য অধিকার প্রদান করেছে। অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নারীরা তোমাদের ভূষণ আর তোমরা তাদের ভূষণ। (সুরা বাকারা : ১৮৭)। নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন মুহাম্মদ (সা.) প্রচারিত জীবন দর্শনের এক অপরিহার্য অংশ। তিনি মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত নির্দেশ করেছেন এবং নারীকে তিনি স্বামীগৃহের সর্বময় কর্ত্রী বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম ব্যবহার করে।’ মুহাম্মদ (সা.) আরবে কন্যা সন্তান জীবন্ত কবর দেয়ার প্রচলিত রীতি চিরতরে বন্ধ করেছেন। তাঁর প্রবর্তিত আইন-কানুন নারীকে পুরুষের অত্যাচার, উৎপীড়ন ও অবিচার হতে মুক্ত করে দিয়েছে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপ্লব
প্রাক ইসলামি যুগে আরববাসীর নৈতিক মান উন্নত করার জন্যও মহানবী (সা.) মদ্যপান, জুয়া, পরদ্রব্য অপহরণ, রাহাজানি, ধর্ষণ, নারীর বহু স্বামী গ্রহণ, পুরুষের সংখ্যাতীত স্ত্রী গ্রহণ ইত্যাদি কার্যকলাপ কোরআনের অনুশাসন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ এবং হারাম ঘোষণা করেছেন। এভাবে তিনি সমগ্র আরব জাহানের সমাজ ব্যবস্থায় এক সুদূরপ্রসারী ব্যতিক্রমধর্মী মহাবিপ্লব সাধন করেন। মানবতার হেদায়াতের পথ-প্রদর্শক মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন, একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সাম্যবাদী মানুষ। সমাজে অর্থনৈতিক দুরবস্থা, বৈষম্য দূরীকরণের জন্য তিনি সুদপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাার জন্য জাকাত ব্যবস্থা চালু করেন।
একটি সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে মহানবী (সা.) আল-গানিমাত, জাকাত, খারাজ, জিজিয়া ও আল-ফাই এ পাঁচ ধরনের উৎস থেকে রাষ্ট্রের রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি তাক লাগিয়ে দেন বিশ্বকে। মহানবী (সা.) ইসলামের বিধান অনুযায়ী সদকাহ ও ফিতরা প্রদানের জন্য বিত্তশালী ব্যক্তিদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার প্রবর্তিত ব্যবস্থাবলি ও সম্পদ বণ্টনের সুষমনীতি পুঁজিবাদের মূলে আঘাত এনেছিল। তাঁর এসব ব্যবস্থা জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করেছিল। এককথায়, তিনি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একটি দেশ বা একটি জাতির জন্য নয়, সব যুগের সর্বকালের এবং সমগ্র মানব জাতির জন্য একটি নতুন জীবন ব্যবস্থা ও আর্দশ প্রতিষ্ঠার জন্যই আবির্ভূত হয়েছিলেন।
মানবতার চরম অবমাননা এবং অজ্ঞানতা, হানাহানি ও কলুষ-কালিমায় আচ্ছন্ন আরববাসীকেই শুধু তিনি সত্যের মহান বাণী দ্বারা অনুপ্রাণিত করেননি, দেশ ও কালের ঊর্ধ্বে সমগ্র মানব জাতির জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আল্লাহ প্রদত্ত একটি আদর্শ ও মানবিক জীবন বিধান। সে আদর্শের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে মহানবীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি জাতি যুগ যুগ ধরে নেতৃত্ব দিয়েছে সমগ্র বিশ্বকে। জ্ঞানের আলোকবর্তিকা তুলে ধরেছেন বিশ্বমানবতার সম্মুখে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক এবং বিশ্বমানবতার শান্তির প্রতীক। তার দর্শন বিশ্বের যে কোনো জাতি-গোষ্ঠীর জন্য মুক্তির এক অনন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। তাই, এই পৃথিবী যতদিন আছে তার সংস্কার কার্যক্রম মানবের কাছে চিরস্মরণীয় এবং পাথেয় হয়ে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহযাব : ২১)। পরিশেষে আমরা এ কথা বলতে পারি, বর্তমান বিশ্বের এই কঠিন ও কঠোর সংঘাতময় পরিস্থিতিতে একমাত্র বিশ্বমানবতার কাণ্ডারি মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শই পারে মানব জাতিকে মুক্তি দিতে এবং সকল সমস্যার সমাধানের দুয়ার খুলে দিতে। এ জন্য প্রয়োজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী গভীরভাবে পাঠ করা এবং এর আলোকে ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বোপরি বৈশ্বিক জীবন গঠনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে আলোকিত করার চেষ্টা করা। তবেই নীতি-নৈতিকতাহীন অশান্ত পৃথিবী শান্ত হবে। শুদ্ধ বিমলতার সৌরভে সুবাসিত হবে।
লেখক : কবি ও সামাজিক সংগঠক, গৌরীপুর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা