প্রশ্ন : নারীরা কতদিন পরপর চুল কাটতে পারবে এবং তার পরিমাণ কতটুকু?
উত্তর : নারীদের চুলের ক্ষেত্রে শরিয়তের নীতিমালা হলো- তারা চুল লম্বা রাখবে। কারণ, উম্মাহাতুল মোমিনিন চুল লম্বা রাখতেন। আর প্রয়োজনে এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। কারণ, পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিণী নারীর প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। তা ছাড়া চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করা যাবে না। কারণ, হাদিসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতএব, যে নারীর চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সঙ্গে সাদৃশ্য হবে না, তার জন্য ওই পরিমাণ কাটা জায়েজ হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়, বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে, তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি কামানোরও অনুমতি আছে। এমনকি চুল বেশি বড় (যেমন- কোমর সমান) হলে চার আঙুলের বেশি পিঠের মাঝামাঝি করে কাটা জায়েজ। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। এ মূলনীতির আলোকে নারীরা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। তবে কেউ নাজায়েজ পরিমাণ কেটে ফেললে বা বিজাতীয় অনুকরণে চুল কাটলে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। (বোখারি : ২/৮৭৪, তিরমিজি : ১/১০৩, মুসলিম : ১/১৪৮, তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম : ১/৪৭২, আল মুফাসসাল ফি আহকামিল মারআতি ওয়াল বাইতিল মুসলিম : ৩/৪০০, খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৩৭৭, হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ্দুর : ৪/২০৩, আল ফাতাওয়াল মারআহ লি শায়খ ইবনে বায : ১৬৫, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৪১৬)।