মুফতি আলী হায়দার
খতিব, তরিকিয়া জামে মসজিদ, সংসদ অ্যাভিনিউ, মনিপুরীপাড়া, ঢাকা
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশ্ন : প্রস্রাব লেগে কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। আশপাশে পানির ব্যবস্থা নেই। গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে নামাজের ওয়াক্তও শেষ হয়ে যাবে। এ মুহূর্তে অপবিত্র কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে কী?
উত্তর : যদি ওই কাপড়ের চতুর্থাংশ বা তার বেশি অংশ পবিত্র হয়, কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা না থাকে, ওই কাপড় ছাড়া সঙ্গে অন্য কোনো কাপড়ও না থাকে এবং ব্যবস্থা করাও সম্ভব না হয়; অন্যদিকে নামাজের সময়ও শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ওই কাপড়েই ওয়াক্তের ভেতর নামাজ আদায় করা যাবে। পরে পুনরায় নামাজ পড়ার প্রয়োজন হবে না। (তাবঈনুল হাকায়েক : ১/৯৭)।
প্রশ্ন : নামাজের জন্য অজু করে বাচ্চাকে দুধ পান করালে অজু ভেঙে যাবে কী?
উত্তর : অজু অবস্থায় দুধ পান করালে অজু ভাঙে না। (ইমদাদুল ফাতাওয়া : ১/৪১)।
প্রশ্ন : টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রচারিত আজানের জবাব দেওয়া কী বাধ্যতামূলক?
উত্তর : টেলিভিশন ও রেডিওতে মুয়াজ্জিনের আজান (রেকর্ড করে নয়) সরাসরি সম্প্রচার করা হলে মুখে উচ্চারণ করে তার জবাব দেওয়া সুন্নত, অন্যথায় সুন্নত নয়। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/৬৪৬)।
প্রশ্ন : নামাজে রাকাত ভুলে গেলে করণীয় কী?
উত্তর : নামাজের ভেতর যদি এমন সন্দেহ হয়, দু’রাকাত হলো নাকি তিন রাকাত, তিন রাকাত হলো নাকি চার রাকাত, তাহলে প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করতে হবে। অর্থাৎ যত রাকাত হয়েছে বলে প্রবল ধারণা হয়, তত রাকাত হিসেবে ধরে নামাজ পূর্ণ করে ফেলা চাই। প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করলে সাহু সেজদা দিতে হবে না। আর যদি চিন্তার পরও কোনো রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে প্রবল ধারণা না হয়, তাহলে সন্দিহান রাকাতগুলোর মধ্যে কম সংখ্যাটি হিসেবে ধরে নামাজ পূর্ণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতি রাকাতে বসে তাশাহুদ পড়তে হবে। নামাজের শেষে সাহু সেজদাও দিতে হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/১৩০)।