ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

সাবেক সহকারী মুফতি, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা), টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

প্রশ্ন : সার্জারি করে স্তন ছোট করা জায়েজ আছে? বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার কারণে অনেক নারীই এ কাজটি করে থাকেন। সুতরাং স্বামীর মনোরঞ্জন কিংবা নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির আগ্রহের কারণে এরূপ করা যাবে কী?

উত্তর : ইসলামের মৌলিক দৃষ্টিকোণ হলো, মানুষের শরীর আল্লাহর আমানত। এর স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। মানুষকে শুধু ভোগ দখলের অধিকার দেয়া হয়েছে। তাই শরীরকে যেমন খুশি তেমন পরিবর্তন করার অধিকার মানুষ সংরক্ষণ করে না। তবে অসুস্থ বা অঙ্গ বেশি হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু সৌন্দর্যতার নামে শরীরের গঠন পরিবর্তন করা হারাম। এ কারণেই হাদিসে পরিষ্কার শব্দে মানুষের চুল মাথায় সংযোজন করতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁক সৃষ্টি করার জন্য দাঁতকে কিছুটা কর্তন করতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এসব হাদিস প্রমাণ করে যে, শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সার্জারি করে স্তন ছোট করা বা বড় করা জায়েজ নয়। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘মানবদেহে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কনপ্রার্থিণী নারী, (বড় দেখানোর জন্য) ভ্রুর চুল উৎপাটনকারিণী ও উৎপাটনকামী নারী এবং (সৌন্দর্য সুষমা বৃদ্ধির মানসে) দাঁতের মাঝে (সুষম) ফাঁক সৃষ্টিকারিণী, যারা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনকারিণী, এদের আল্লাহতায়ালা লানত করেন।’ (মুসলিম : ২১২৫)। কোরআনে মানুষের স্বাভাবিক সৃষ্টি-ব্যবস্থার পরিবর্তনকে শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, (শয়তান বলল) আমি তাদের পথভ্রষ্ট করবই, তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনা প্রবিষ্ট করাব। আমি তাদের নির্দেশ দেব, যাতে তারা পশুর কর্ণচ্ছেদ করবে। তাদের নির্দেশ দেব, যাতে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে।’ (সুরা নিসা : ১১৯)। অতএব, আল্লাহ তায়ালার সাধারণ সৃষ্টিব্যবস্থা বিকৃত করার গোনাহ হওয়ার কারণে সার্জারি করে স্তনের আকৃতির পরিবর্তন ঘটানো যাবে না। যদিও তাতে স্বামীর সম্মতি বা আগ্রহ থাকুক না কেন। কেননা, হাদিসের স্পষ্ট নির্দেশ হলো, ‘মাখলুকের আনুগত্য করতে গিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নাফরমানি করা যাবে না।’

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত